সালাহউদ্দিন আহমেদ 

ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে কোনো বিভাজন চায় না বিএনপি

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:০৬ | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে কোনো বিভাজন চায় না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেছেন, আমরা ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে কোনো বিভাজন চাইনি, চাই না, কখনো করবো না। আমরা ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি দল। আমাদের রাজনীতি সমন্বয়ের রাজনীতি। বাংলাদেশের এই ভূখণ্ডে সব জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদীর ভিত্তিতে আমরা রাজনীতি করি।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের এই ভূখণ্ডের মধ্যে সব ধর্ম বর্ণের, সব গোত্রের, সব ভাষাভাষীর, সব সংস্কৃতির মানুষকে নিয়ে একটা সমন্বয়ের রাজনীতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল করে। 

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী দিনে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে। এই লক্ষ্যে আমাদেরকে আগামীতে বাংলাদেশের একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। গণতান্ত্রিকভাবে যাতে আমরা আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারি সেজন্য আমরা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করেছি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে সেই অধিকার প্রায় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পথে। আমাদের মধ্যে যেন কোনো বিভাজন না থাকে। 

বাংলাদেশের সব জনগণকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সুন্দর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যেন সুন্দরভাবে আমরা সবাই মনোনিবেশ করি। আমরা অবশ্যই স্বীকার করবো বাংলাদেশের জনগণ এখন নির্বাচন চায়। বাংলাদেশে এখন নির্বাচনের আমেজ চলছে, আবহাওয়া চলছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই যে প্রক্রিয়া তাতে বাধা সৃষ্টি করার জন্য কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে সেটা দৃশ্যমান। এখানে আন্তর্জাতিক মহলও থাকতে পারে। দেশি-বিদেশি শক্তি সক্রিয় সেটা আমরা অনুমান করতে পারি। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। 

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ সংকল্পবদ্ধ। এদেশের গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যারাই বাধা সৃষ্টি করবে এবং কোনো রকমের ষড়যন্ত্র করবে সে দেশি হোক বিদেশি হোক, তাদেরকে তারা প্রতিহত করবে।—যোগ করেন তিনি।

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, পিআর পদ্ধতি হচ্ছে একটা পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস পদ্ধতি। যার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশে এটা দেখা গেছে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে সব সময়ের জন্য। কোনো স্থায়ী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় না। এই প্রক্রিয়ায় কখনো মেজরিটির ভিত্তিতে সরকার গঠন করা সম্ভব হয় না। এটি জ্বলন্ত পার্লামেন্ট থাকে। অস্থির অবস্থা থাকে। বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে। 

তিনি আরও বলেন, একটা জরিপে দেখলাম ৫৬ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতির বিরুদ্ধে। কোন একটা জরিপে দেখলাম কোনো একটা দল বলছে ৭০ শতাংশ লোক পিআর পদ্ধতি চায়, সেটা কীভাবে চায় আমাদের বুঝে আসে না। আমরা পিআর মানে মনে করি পাবলিক রিলেশন। আমরা পিআর মানে মনে করি জনসংযোগ। এখন সবাই জনসংযোগে আছে। সেই পিআরে আমরা বিশ্বাস করি।