গণতন্ত্রে ফেরার একমাত্র পথ অবাধ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার একমাত্র পথ হলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আর কোনো বিকল্প পথ নেই। কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না।”
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে শহীদ নাজিরউদ্দিন জেহাদের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যতই সংস্কার বা কৌশল গ্রহণ করা হোক, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত প্রকৃত গণতন্ত্রে ফেরা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতাকামী ও গণতন্ত্রপ্রিয়। তারা বহুবার রক্ত দিয়েছে, সংগ্রাম করেছে। প্রতিবার ব্যর্থতার পরও তারা আবার উঠে দাঁড়িয়েছে। ইতিহাস প্রমাণ করে, লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমেই বিজয় আসে।
মির্জা ফখরুল বলেন, “দানব হাসিনা দেশের বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা— সব কিছু তছনছ করে দিয়েছে। হাসিনাকে ‘হাসিনা’ বললেও সম্মান বেশি দিয়ে ফেলা হবে।”
জুলাই আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু সংগঠন এই আন্দোলনকে নিজেদের বলে দাবি করছে, অথচ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর ‘শাপলা মার্কা না দিলে ধানের শীষ বাতিল করতে হবে’— এই বক্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “ভাই, আমরা তো তোমাদের মার্কা দিতে বাধা দিইনি। কোন প্রতীক দেবে তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। কিন্তু ধানের শীষ নিয়ে এত হিংসা কেন? কারণ ধানের শীষ এখন অপ্রতিরোধ্য স্লোগান।”
তিনি আরও বলেন, “ধানের শীষকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু ধানের শীষ বিজয়ী হলে বাংলাদেশে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা নিজেরাই বিদায় নিতে বাধ্য হবে।”
