নভেম্বরে গণভোট ও পিআর পদ্ধতি চেয়ে ইসিকে জামায়াতের প্রস্তাব

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৪২ | অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আগামী নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একইসঙ্গে, পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিও রাখতে আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ও অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচনী পদ্ধতিতে গত ৫৪ বছরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। এতে ‘দিনের ভোট রাতে’ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই আমরা কমিশনকে বলেছি, বিদ্যমান পদ্ধতির পাশাপাশি পিআর পদ্ধতিরও প্রস্তুতি নিতে।  

গণভোটের বিষয়ে ডা. তাহের বলেন, গণভোট নিয়ে দুটো আলোচনা আছে। সংসদ নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট একসঙ্গে হওয়ার ব্যাপারে কোনো কোনো দলের মত আছে। আমরা বলেছি আলাদা করার জন্য যেহেতু আলাদা বিষয়। যদি আলাদাভাবে হয় এটার জন্য প্রস্তুতি যেন রাখে।

তিনি আরও বলেন, সমস্যা যেটা হবে প্রত্যেকে জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়েই মনযোগ দেবে। কাজেই ওটা প্রধান্য পাবে না। আরেকটা বিষয় হচ্ছে কোথাও ভোট দখল হলে ওটাও দখল হবে। আমরা আলাদাভাবে করার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছি। একসাথে হলে সময়ের বিষয়ও আছে। উনারা বলেছেন সরকার যেটা সিদ্ধান্ত নেয় আমরা সেটা বাস্তবায়ন করবো।

ভোট আলাদা দিনে হলে খরচের একটা বিষয় আছে, সাংবাদিকরা এ বিষয়টি উত্থাপন করলে জামায়াতের এই নেতা বলেন, এটা তো খুব সিম্পল। কাজেই বড় ধরনের ব্যয় হবে না। ব্যালট বাক্স তো ওটাই থাকবে। শুধু ব্যালট, খাওয়া-দাওয়া এসবের ব্যয় হবে। এটা বললে স্থানীয় ভোটসহ সব একসঙ্গে হতে হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, আমরা মনে করি একই দিন গণভোট হলে রিফর্মসের ইস্যু মাইনর হয়ে যাবে। কারণ সবাই নিজের দলের প্রার্থীকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। আরেকটা ভোটের জন্য তাকে ভোটারকে কে চাপাচাপি করবে। বরং আলাদা হলে মানুষ ভোট দেবে। আবার ঝামেলা হলে আমরা তো জেনে যাবো। আর এক সঙ্গে দুটো ভোট হলে এবং ঝামেলা হলে আম ছালা দুটোই যাবে। আমরা নভেম্বরে গণভোট করার জন্য বলেছি।