ডা. তাহের

আগামীকালের মধ্যেই গণভোটের আদেশ জারি চায় জামায়াত

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ

জুলাই জাতীয় সনদ ও গণভোটের ওপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারকে যে আদেশ জারির সুপারিশ করেছে তা আজ (বৃহস্পতিবার) রাত অথবা আগামীকালের (শুক্রবার) মধ্যেই বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মগবাজারের আলফালাহ মিলনায়তনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) দাবি আদায় হয়নি, গণভোটও যদি না হয় তাহলে জামায়াতের পরবর্তী কর্মসূচি কী—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আদায় করতে পারিনি কে বলছে। আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আজ রাতের মধ্যেই দেখি করবে কি না। কালও সময় আছে। বাকিটা কাল দেখা যাবে।

ডা. তাহের বলেন, গণভোটকে গলা টিপে হত্যা করতেই বিএনপি নির্বাচনের দিন গণভোট চায়। বিএনপির আচরণ হচ্ছে তারা কোথায় লাভবান হবে সেই হিসাব করেই সংস্কার চায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপি বলছে, কোনোভাবেই গণভোট মানবে না। তাই ইন্টেরিম সরকারের অনতিবিলম্বে গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। কোনো সময়ক্ষেপন না করে আজই ঘোষণা করুন। রাতের বেলায়ও অনেক আদেশ জারি করা যায়। নাহলে আপনার সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে তাহলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, আগামী নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন ইস্যু সামনে এনে একটা রাজনৈতিক অনাকাঙ্ক্ষিত সংশয় ও আস্থাহীনতার পরিবেশ যেন তৈরি না হয়। সময়ক্ষেপণ করতে করতে একটা সময় যদি বলা হয় গণভোটের সময় নেই, তাহলে এটা হবে প্রতারণা। প্রতিটি দিন-ঘণ্টা এখন গুরুত্বপূর্ণ।

ঐকমত্য কমিশন প্রতিটি বিষয়ে সবাইকে একমত করতে চেয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিশেষে ৬০ শতাংশ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সব দলের ঐক্যের ভিত্তিতে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। রিফর্ম তো সবসময় হতে পারে না। জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে হতে পারে না।

ডা. তাহের বলেন, আমরা বার বার বলে আসছি, ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন চাই। যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, সেটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চাই। গণভোটও আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে চাই। গণভোটের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচন চাই এবং এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা চাই।

নির্বাচন বানচাল নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রচারণা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগেই কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এবং মহল থেকে বিভ্রান্তিমূলক ও পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচন বানচাল নিয়ে ফেসবুকে নানা প্রচারণা চলছে আমাদের বিরুদ্ধে।