গণতন্ত্র ছাড়া দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই: বিএনপি মহাসচিব

গণতন্ত্র ছাড়া দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঐতিহাসিক রায়ের দিন দেশে তৈরি হওয়া মবক্রেসির পরিবেশ একটি পরিকল্পিত বিভ্রান্তির প্রচেষ্টা। তিনি অভিযোগ করেন, আমরা দুর্ভাগ্যক্রমে অন্যের মত সহ্য করতে শিখিনি; সেই কারণে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

বুধবার গুলশানের একটি হোটেলে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার’ বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার সময় দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে জনদৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তার ভাষায়, এই মবক্রেসি কীসের লক্ষণ তা স্পষ্ট নয়; তবে রায়ের গুরুত্ব কমিয়ে দিতে একটি বিশেষ মহল সচেতনভাবে ভিন্ন পরিবেশ তৈরি করছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি কোনো বিপ্লবী সংগঠন নয়, বরং একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক দল। গণতন্ত্রে বিশ্বাস বলেই দলটি দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া থেকে রক্ষা করতে বিচার বিভাগ, সাংবাদিকতা, পার্লামেন্ট ও আইনের শাসনসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন ও কার্যকর করতে হবে।

সংস্কার ইস্যুতে বিভ্রান্তি তৈরির অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ কেউ দাবি করতে পারেন না যে তিনি এককভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। বহু বছর ধরেই বিএনপি ১০, ২৭ ও ৩১ দফার মধ্য দিয়ে সংস্কারের রূপরেখা দিয়ে আসছে। এখন একটি মহল এটিকে ভিন্নদিকে নেয়ার চেষ্টা করছে।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন মানে শুধু ভোট নয়; এর অর্থ গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া। আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক মোর্চা গঠনের দায়িত্ব এখন বিএনপির ওপরই বর্তেছে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিন, ড. ওসমান ফারুকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।