এরশাদ ও হাসিনা একসঙ্গে মিলে গণতন্ত্রকে জবাই করেছেন: রিজভী
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:০৬ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, এরশাদ ও হাসিনার চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য নেই বলেই তারা বারবার একে অপরের বিরুদ্ধে নানান কথা বলার পরও একটি চূড়ান্ত মুহূর্তে আবার একত্রিত হয়েছেন, হ্যান্ডসেক করেছেন এবং একসঙ্গে মিলে গণতন্ত্রকে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ৯০–এর ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, হাসিনা ও এরশাদ একইভাবে সারা দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিলেন। ব্যাংক লোপাট থেকে শুরু করে মানুষের আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুট করা, সবকিছু করেছেন এরশাদ। যার চূড়ান্ত বিকাশ ও একটি ভয়াবহ ম্যানিফেস্টেশন আমরা দেখলাম শেখ হাসিনার আমলে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত সাড়ে ষোল বছরের এক পৈশাচিক দুঃশাসনের যে ভয়াবহ নমুনা আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, তারও অন্যতম সহযোগী কিন্তু ওই দলটিই (জাতীয় পার্টি) ছিল। এখন তারা আবার গণতন্ত্রের পক্ষে সবক দিচ্ছে। অথচ তাদের যেকোনো একটি ভূমিকা শেখ হাসিনাকে হয়তো এতদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় প্রলম্বিত করতো না। বারবার তারা গিয়ে হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করেছেন।
হাসিনা ও এরশাদের কর্মকাণ্ড বর্ণনা করে তিনি বলেন, অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা দিয়ে তারা দেশের আইনকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগায়। এটা এরশাদ যেমন করেছেন, হাসিনাও করেছেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আইন-আদালতের ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজকে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির তিনটি মামলায় হাসিনার নাকি ২১ বছরের সাজা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর যেখানে প্রভাব বিস্তার করার কিছু নেই, সেখানে তার সাজা হচ্ছে। মোটামুটিভাবে স্বাধীনভাবেই বিচারিক প্রক্রিয়া এবং আদালতগুলো কাজ করছে। সুতরাং এখানে বলার কোনো অবকাশ নেই যে, কোথাও কোর্টকে প্রভাবিত করা হচ্ছে, যেটা শেখ হাসিনা করেছেন।
তিনি বলেন, ব্যাংকের টাকা ফেরত না দেওয়া, ঋণ নিয়ে খেলাপী হয়ে আবারও ঋণ নেওয়ার সংস্কৃতি হলো হাসিনোমিকস।
