দেশের শত্রুরা নতুন করে হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ | অনলাইন সংস্করণ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার মতো ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ যখন একটা নতুন অধ্যায়ের দিকে একটা নতুন সূর্য দেখছে, বাংলাদেশর মানুষ স্বপ্ন দেখছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে—ঠিক সেই সময় আবার নতুন করে বাংলাদেশের শত্রুরা হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, যখন পাক হানাদার বাহিনীর পরাজয় অসাধ্য হয়ে উঠেছে, চতুর্দিক থেকে যখন মুক্তিবাহিনী ঢাকা ঘিরে ফেলেছে, সেই সময়ে পাক হানাদার বাহিনী এই বাংলাদেশে সমস্ত মেধাকে বিনষ্ট করে দেওয়ার জন্য এই দেশের সমস্ত বুদ্ধিজীবীদের তুলে তুলে নিয়ে গিয়ে দোসরদের সঙ্গে তারা যোগসাজশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, গবেষক, কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ অনেককেই তারা তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। এভাবেই আমরা আমাদের সর্বশেষ্ঠ সন্তানদের হারাই। এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে মেধাহীন করে দেওয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ডটা ঘটানো হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে আমাদের এই দিনে বার বার আমরা সেই কথা মনে করি। 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, একইভাবে আমরা সবাই জানি যে, ২০২৪ সালে আমাদের সন্তানদের গণহত্যা করা হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ যখন একটা নতুন অধ্যায়ের দিকে একটা নতুন সূর্য দেখছে, বাংলাদেশর মানুষ স্বপ্ন দেখছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে সেই সময় আবার নতুন করে বাংলাদেশের শত্রুরা এই হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে। গত পরশু যে ঘটনা ঘটেছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং আমরা আশঙ্কা করছি যে, এইরকম আরও ঘটনা ঘটতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আমাদের নেত্রী যিনি অসুস্থ, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তার পক্ষ থেকে আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসেছি, শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমরা এই শপথ নিয়েছি যে, আমরা যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবো, স্বর্বভৌমত্বকে রক্ষা করবো এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। 

মির্জা ফখরুল বলেন, এই দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমাদের নেতা আমাদের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই বাংলাদেশের যে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন তার প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাসহ সিনিয়র নেতারা এবং ঢাকা মহানগর ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।