
ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার করা রিট আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ হারালেন তিনি।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি বজলুর রহমান ও বিচারপতি মনজুর আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিকালে মান্নার পক্ষে আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান।
উল্লেখ্য, জোটভিত্তিক নির্বাচনি সমঝোতার অংশ হিসেবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বগুড়া-২ আসনটি মাহমুদুর রহমান মান্নার জন্য ছেড়ে দিয়েছিল।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে খেলাপি ঋণের দায়ে ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা। নোটিশে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বকেয়া আদায়ের কথা বলা হয়।
মান্না ও তার দুই অংশীদারের ঠিকানায় পাঠানো নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।