খুলনায় সরকারি মৎস্য বীজ খামার ‘দখলের’ প্রতিবাদ
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার মধ্যে থাকা খুলনা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ঘোষণা ও খামারের নামফলকের ওপর নতুন ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক খালেদ কনক ও সদস্যসচিব মশিউর রহমানের সই করা এক প্রতিবাদ লিপিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়, মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, গল্লামারি, খুলনা; উপ-প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট; দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র ফিশ হেলথ ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি ও একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ প্রায় ১০.৩৫ একর সরকারি জমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী জবরদখল ও প্রতিষ্ঠানের মূল নামফলক অপসারণ করে অবৈধভাবে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ হল’ ঘোষণা করেছে।
এতে মৎস্য অধিদপ্তরের এ প্রতিষ্ঠানে কার্প ও চিংড়ি হ্যাচারি, প্রজননক্ষম মৎস্য ব্যবস্থাপনা, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কলাকৌশল সম্বলিত প্রশিক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা, জেনেটিক্যালি পরিশুদ্ধ রেণু ও পোনা উৎপাদন, বৃহত্তর খুলনাসহ পাশের অন্য জেলার ঘের ও খামারগুলোর ভৌত-রাসায়নিক প্যারামিটার পরীক্ষা, পিসিআর অ্যামপ্লিফিকেশনসহ অন্য কার্যক্রম বন্ধ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এহেন জঘন্য মবোক্রেসির মাধ্যমে শুধু জুলাই আন্দোলনের মহৎ ও পবিত্র উদ্দেশ্যই ভূলুণ্ঠিত হয়নি, বরং দেশের উৎপাদনমুখী মৎস্য সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব এবং কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ব্যাহত ও বিপর্যস্ত হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের দ্বারা সরকারি সম্পত্তি ও দপ্তরসমূহ জবরদখলের এহেন কর্মকাণ্ড দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি অশ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
