রোহিঙ্গা সংকটে আন্তর্জাতিক সংলাপ

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন

* আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও ছিল রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে * আরাকানে সংঘাত থামলেই রোহিঙ্গাদের ফেরার পরিবেশ সৃষ্টি হবে : জাতিসংঘের কর্মকর্তা

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এ এইচ সেলিম উল্লাহ ও সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে কক্সবাজারে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক অংশীজন সংলাপের শেষ দিনে গতকাল মঙ্গলবার বিদেশি কূটনীতিক, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং দেশের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিধিরা শিবিরে রোহিঙ্গাদের জীবনযাপন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, খাদ্য সরবরাহ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। তারা বিশেষভাবে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) পরিচালিত খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্র, হাসপাতাল এবং ইউএনএইচসিআরের স্যানিটারি ন্যাপকিন উৎপাদন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দৈনন্দিন চ্যালেঞ্জ, দীর্ঘ অনিশ্চয়তা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা সম্পর্কে শোনেন। সূত্র বলছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে আসা ৪০ দেশের প্রতিনিধির পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও গিয়েছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এসময় তারা রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন। তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনেন। বিদেশি প্রতিনিধিরা উখিয়ার ক্যাম্প ৪ এ অবস্থিতি জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউ এফপির ই-ভাউচার আউটলেট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এরপর উখিয়ার বালুখালী ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে যান। সেখানে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এর পরে রোহিঙ্গা নারীদের হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় রোহিঙ্গা নারীদের সাথেও দীর্ঘক্ষন কথা বলেন দেশী বিদেশি প্রতিনিধিরা। দুপুরে পরিদর্শন শেষ ক্যাম্প এলাকা ছাড়েন তারা।

এ সফর ছিল আন্তর্জাতিক সংলাপ ‘স্টেকহোল্ডারস’ ডায়ালগ : টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’-এর অংশ। কক্সবাজারে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এই সম্মেলনে ৪০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। আর সেই সম্মেলনের সমাপ্তি হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরের মধ্য দিয়ে।

প্রথম দলের নেতৃত্বে ছিলেন- ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার কূটনীতিকরা। ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপ-প্রতিনিধি ড. রাজেশ নারওয়াল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের উপ-মহাপরিচালক সোনা শ্রেষ্ঠা, মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটসের জন কুইনলি, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল কাউন্সিলের নেতা নায় সান লুইন, আবুল কালাম ও খায়েরুল আমিনসহ আরও অনেকে। তাদের সফরসূচি শুরু হয় ক্যাম্প-৪ এর এ/১১ ব্লকের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) পরিচালিত ই-ভাউচার শপ থেকে। এখানে তারা প্রত্যক্ষ করেন কীভাবে শরণার্থীরা নির্ধারিত কুপনের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করেন। পরে যান ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের সি/০১ ব্লকে। সেখানকার প্রোডাকশন সেন্টার ও লাইভলিহুড স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং সেন্টার ঘুরে দেখেন। শরণার্থী নারীরা হাতে তৈরি হস্তশিল্প দেখান, আর কর্মকর্তারা জানান এই প্রশিক্ষণ কিভাবে তাদের জীবনে নতুন আশার আলো জাগাচ্ছে। সফরের শেষ ধাপ ছিল বালুখালী ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল। সেখানে চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম দেখানো হয় প্রতিনিধি দলকে। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তারা কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন।

অন্যদিকে দ্বিতীয় দলে ছিলেন- মিজিমা মিডিয়া গ্রুপের আং নিউ লিন, থাই দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সুপাওয়াদে ওয়ংসাওয়াসদি, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোমেনিকো স্কালপেল্লি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফরহাদুল ইসলাম, নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের মন্ত্রী ফারিদা ইয়াসমিন, মালয়েশিয়ান উপদেষ্টা লিলিয়ান ফ্যানসহ একাধিক আঞ্চলিক সংগঠনের প্রতিনিধি। তারা সফর শুরু করেন বালুখালী ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে। এরপর যান ক্যাম্প-৪ এর ই-ভাউচার শপে এবং ঘুরে দেখেন একই প্রোডাকশন সেন্টার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে তারা কক্সবাজার ফিরে আসেন। সফর জুড়ে দুই দলকেই কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে রেখেছিল পুলিশ। কোনো অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এই সফরে কূটনীতিকরা শুধু প্রকল্প পরিদর্শনই করেননি, দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন নারী-পুরুষ শরণার্থীদের সঙ্গে। তারা শুনেছেন মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা মানুষগুলোর বেঁচে থাকার লড়াইয়ের কথা। শরণার্থীরা বলেছেন খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সংকটের কথা এবং নিজের দেশে ফেরার আকুতির কথা।

ক্যাম্প সফর শেষে প্রতিনিধিরা স্বীকার করেছেন, দীর্ঘ আট বছর ধরে মানবিক সহায়তায় টিকে থাকা এই বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক দেশগুলোতেও দায়িত্ব ভাগাভাগি করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, অংশগ্রহণকারীদের সরেজমিনে ঘুরে দেখানো হয়েছে যাতে তারা রোহিঙ্গাদের বাস্তব পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেলে এ শিবিরগুলোতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এজন্য আমরা দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর কাছে অর্থায়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা শুধু বাংলাদেশের ওপর নয়, আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কক্সবাজারে কর্মরত বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রোগ্রাম পলিসি অফিসার শেখ রবিউল আলম জানান, বিদ্যমান তহবিল দিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা চালানো সম্ভব হবে। কিন্তু এখনো নতুন অর্থায়নের কোনো প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি, যা ইতোমধ্যেই শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘নতুন অর্থায়ন না এলে খাদ্য সহায়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ মানবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।’

এদিকে শিবির পরিদর্শনে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি পুরো কার্যক্রমকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। রাজনৈতিক নেতারা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কোনো একক সরকারের সমস্যা নয়, বরং এটি জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন। তাদের মতে, সব দলের সক্রিয় সম্পৃক্ততা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী করবে।

বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অসাধারণ ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এটিকে বৈশ্বিক মানবিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেন। তারা মনে করেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত ও কার্যকর উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।

এদিকে, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সংঘাত থামলেই বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে আসার পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)-এর মিয়ানমার শাখার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড। আরাকানে সংঘাত থামানোর জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বকে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডানফোর্ড বলেন, ‘(বাংলাদেশে আশ্রিত) রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা আরকান রাজ্যের চলমান সংঘাত। সংঘাত থামলেই তাদের ফিরে আসার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। আমরা আন্তর্জাতিক বিশ্বকে এজন্য জোরদার কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর আহ্বান জানাতে চাই।’

সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার জন্য দাতা দেশগুলোর কাছে ৩ কোটি ডলার সহায়তাও চেয়েছেন তিনি। এনএইচকে-কে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিয়ানমার এবং মিয়ানমারের বাইরে বসবাসরত রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর লোকজনের জন্য খাদ্য সহায়তা বাবদ দাতা দেশগুলোর কাছে ৩ কোটি ডলার চেয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ডব্লিউএফপির মিয়ানমার শাখার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড।

সাক্ষাৎকারে এনএইচকে-কে তিনি বলেন, ‘এখানে রোহিঙ্গাদের অবস্থা ভয়াবহ। তাদের ছয় মাসের খোরাকির জন্য এই ৩ কোটি ডলার আমরা চাইছি। যদি অর্থ না পাই, তাহলে রোহিঙ্গারা না খেয়ে থাকবে, তাদের মধ্যে অপুষ্টির হারও অনেক বাড়বে।’

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বেশ কয়েকটি পুলিশ স্টেশন ও সেনা ছাউনিতে একযোগে বোমা হামলা ঘটায় সশস্ত্র রোহিঙ্গা গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। সেই হামলার প্রতিক্রিয়ায় আরাকানের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ভয়াবহ অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

সেনা সদস্যদের নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের মুখে টিকতে না পেরে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা। বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে কক্সবাজারের টেকনাফ জেলার কুতুপালংয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়। পরে জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা সংস্থার পক্ষ থেকে তাদেরকে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান শুরু হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত এই ব্যবস্থাই চলে আসছে। বর্তমানে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছেন ১৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। শুরুর দিকে এই রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। পরে এক সময় এই দায়িত্ব নেয় জাতিসংঘ। বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের সবাই জাতিসংঘ থেকে খাদ্য সহায়তা পেয়ে থাকেন।

রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার বিষয়টি তদারক করে ডব্লিউএফপি; আর ডব্লিউএফপির তহবিলে এতদিন সবচেয়ে বেশি অর্থ সহায়তা দিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। বস্তুত, এই সংস্থার তহবিলের ৮০ শতাংশই আসত যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তা প্রদান সংস্থা ইউএসএইড থেকে। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশি সহায়তা স্থগিতের আদেশের পর থেকে ইউএসএইডের সেই তহবিল বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে, মিয়ানমারে সংঘাত তীব্র হওয়ায় গত কয়েক মাসে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন নতুন প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সংলাপ থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। আশা করা হচ্ছে, বৈশ্বিক কূটনীতির এ প্ল্যাটফর্ম থেকে সংকট সমাধানে নতুন দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।

কক্সবাজারে আয়োজিত এ সংলাপে সরকার, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠন, কূটনৈতিক মহল এবং রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ কক্সবাজারকে রূপ দিয়েছে বৈশ্বিক মানবিক কূটনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে। রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো তিন দিনের এ সংলাপ।