পার্সেইড উল্কাবৃষ্টি

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  প্রযুক্তি ডেস্ক

তারার আলোয় মুগ্ধ হওয়ার জন্য এখন ঘরের ভেতর থেকে ডেকচেয়ার বের করে বাইরে বসার সময় এসেছে। কারণ বছরের অন্যতম মনোমুগ্ধকর পার্সেইড উল্কাবৃষ্টি দেখার এক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তারাপ্রেমী মানুষরা।

পার্সেইড উল্কাবৃষ্টি কী? ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষ যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে জ্বলে ওঠে তখন জ্বলজ্বলে আলো ছড়ানোর মতো পার্সেইড উল্কাবৃষ্টির ঘটনা ঘটে। ‘ইউনিভার্সিটি অফ শেফিল্ড’-এর জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী ড. রিচার্ড পার্কার বলেছেন, ‘প্রতি বছর ‘কমেট ১০৯পি/সুইফট-টাটল’ নামের এক পুরোনো ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষ থেকে আসা ধূলাবালি দিয়ে ভরা এক পথ পাড়ি দেয় পৃথিবী। এ ধূমকেতুর বয়স প্রায় ৫০০ কোটি বছর, যা পৃথিবীর থেকেও বেশি।’ তিনি বলেছেন, ধূমকেতুটি প্রতি ১৩৩ বছর অন্তর অন্তর পৃথিবীর সৌরজগতের অভ্যন্তরীণ অংশে আসে এবং এইবারের পর ২১২৬ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছ দিয়ে যাবে এটি। পার্কার আরও বলেছেন, ‘ধূমকেতুটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নিকটবর্তী মহাজাগতিক বস্তু হলেও সৌভাগ্যক্রমে আগামী হাজার হাজার বছর পর্যন্ত আমাদের পৃথিবীর বিপজ্জনক কোনো দূরত্বে আসার আশঙ্কা নেই এর।’ পার্সেইড উল্কাবৃষ্টি ঘটে কারণ ধূমকেতু থেকে আসা ধূলা ও ধ্বংসাবশেষ মহাকাশে দীর্ঘ সময় ধরে থেকে যায়।

কখন, কোথায় দেখা যায়? প্রতিবছর পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায় উল্কাবৃষ্টির ঘটনা। গ্রিনউইচের ‘রয়াল অবজারভেটরির একজন জ্যোতির্বিদ ড. এড ব্লুমার বলেছেন, ‘যেহেতু বছরের পর বছর ধরে আমরা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করি তাই একই সময় ও একই দিক থেকে এ ধূলিকণার সঙ্গে সংঘর্ষ করি। ফলে আমাদের চোখে, অর্থাৎ পৃথিবী থেকে দেখা গেলে, পার্সেইড যেন প্রতি বছর আকাশের একই জায়গা থেকে আসে বলে মনে হয়।’