স্বাস্থ্য কর্নার

বাংলাদেশে আইভিএফ চিকিৎসায় আসছে জেনেটিক স্ক্রিনিং প্রযুক্তি

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্বাস্থ্য ডেস্ক

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আইভিএফ চিকিৎসায় (টেস্ট টিউব বেবি) উন্নত জেনেটিক স্ক্রিনিং ও এমব্রায়ো বায়োপসি প্রযুক্তি চালু হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রযুক্তি চালু হলে আইভিএফ চিকিৎসার সফলতার হার বাড়বে এবং মিসক্যারেজ ও ইমপ্ল্যান্টেশন ব্যর্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। গত মঙ্গলবার রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ‘অ্যাডভান্সমেন্টস ইন রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজিস’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। সেমিনারে প্রজনন চিকিৎসার সর্বশেষ অগ্রগতি ও প্রযুক্তি নিয়ে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা মতবিনিময় করেন। সেমিনারে চিকিৎসকরা জানান, বাংলাদেশে আইভিএফ কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগেই এখনও উন্নত জেনেটিক স্ক্রিনিং বা এমব্রায়ো বায়োপসি প্রযুক্তি নেই। অথচ এসব প্রযুক্তি প্রয়োগ করলে ভ্রূণের ক্রোমোজোমজনিত ত্রুটি আগেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এর ফলে গর্ভপাত বা ইমপ্ল্যান্টেশন ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি কমবে এবং একটি সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। সেমিনারে জানানো হয়, প্রি-ইমপ্লান্টেশন জেনেটিক টেস্টিং (পিজিটি) ও এন্ডোমেট্রিয়াল রিসেপটিভিটি টেস্ট (ইআরএ) বিশেষত তাদের জন্য কার্যকর যারা একাধিকবার আইভিএফে ব্যর্থ হয়েছেন। নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তির মাধ্যমে ভ্রূণের অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করা যাবে আরও নির্ভুলভাবে। পাশাপাশি চিকিৎসার খরচ নিয়ন্ত্রণে আনার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষ এই সুবিধা নিতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, প্রযুক্তি উন্নত হলেও রোগীর শারীরিক অবস্থা, বয়স ও ভ্রূণের গুণমানের মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। কারণ কেবল প্রযুক্তি নয়, বাস্তব পরিস্থিতিই নির্ধারণ করবে সফলতার হার। একইসঙ্গে এসব চিকিৎসায় নৈতিকতা, আইনগত কাঠামো ও তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। সেমিনারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও আইভিএফ ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. ফ্লোরিডা রহমান বলেন, “যাদের ভালো মানের ভ্রূণ থাকা সত্ত্বেও আইভিএফ ব্যর্থ হচ্ছে, তাদের জন্য এন্ডোমেট্রিয়াল রিসেপটিভিটি এসে (ইআরএ) এবং প্রি-ইমপ্লান্টেশন জেনেটিক টেস্টিং (পিজিটি) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে এই প্রযুক্তিগুলো এখন ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে, যা রোগীদের জন্য আশার খবর।”