ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে?

শরীরের ব্লাড সুগার বা রক্তের শর্করার পরিমাণ যখন বেশি হয়ে যায় তখন তাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। বর্তমানে অসংখ্য মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত। তাই ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতনতার বিকল্প নেই। দীর্ঘদিন রক্তের শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে তার প্রভাব পড়ে চোখ ও কিডনিতেও। সাধারণত ডায়াবেটিস ধরা পড়লে চিনি খাওয়া ছাড়তে পরামর্শ দেওয়া হয়। শর্করার পরিমাণ বেশি হয় খেতে হয় ওষুধ। কারো কারো ইনসুলিন ইনজেকশনও নিতে হয়। তবে এর পাশাপাশি কিছু প্রাকৃতিক টোটকাও ব্যবহার করতে পারেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে। এমনই একটি উপকারি উপাদান আমলকি। আমলকি খেলে যে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যাবে এমনটা নয়। এটি ওষুধ বা ইনজেকশনের বিকল্পও নয়। কিন্তু আমলকি হচ্ছে সেই ফল যা খেলে বেড়ে যাওয়া সুগারের মাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে। এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট (পলিফেনল, ট্যানিন), ফাইবার ও ক্রোমিয়াম। সকালে খালি পেটে কাঁচা আমলকি খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার হবে। সকালে এটি খেলে এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও ক্রোমিয়াম শরীরে ভালোভাবে শোষিত হবে এবং ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে। কাঁচা আমলকির রস বের করে খেলে তা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। তবে বাজার থেকে কেনা আমলকির রস নয় বরং কাঁচা আমলকি পিষে এর রস বের করে খেতে হবে। সঙ্গে মেশাতে পারেন আরও কিছু উপাদান। এতে আরও বেশি উপকারিতা মিলবে। ১-২টি তাজা আমলকি বীজ ছাড়িয়ে ভালোভাবে পিষে রস বের করুন। আধা গ্লাস পরিমাণ ঈষদুষ্ণ পানিতে এই রস মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে মেশান এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো, এক চিমটি দারুচিনির গুঁড়ো। সকালে খালি পেটে এই পানীয় পান করলে রক্তে শর্করা বাড়তে পারবে না।

আমলকি ও মেথির মিশ্রণ : ১ চামচ আমলকির গুঁড়া, ১ চামচ মেথি বীজের গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। বাড়িতেই আমলকি শুকিয়ে তা পিষে গুঁড়ো করে নিন। একইভাবে মেথির গুঁড়ো বানিয়ে নিন। এরপর এক গ্লাস পানিতে আমলকি ও মেথির গুঁড়ো ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালে খালি পেটে এই পানীয় পান করুন। এতে সুগার তো কমবেই, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলও কমবে। শুকনো আমলকির টুকরো বা তাজা আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। দুই কাপ পানিতে এই আমলকির টুকরোগুলো দিয়ে ফোটান।