স্বাস্থ্য কর্নার
দূষণে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি বাড়ছে ফুসফুস বাঁচাতে যা করবেন
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

দূষণে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি বাড়ছে। ক্ষতির মুখে আছে ফুসফুস। কারণ হাঁপানির টান বড় কষ্টকর। যাদের হাঁপানি আছে, তারাই বোঝেন এ সমস্যা কত বড় কঠিন। আর সঙ্গে যদি কাশি, বুকে ব্যথা আর বিনিদ্র রাতযাপন হয়, তবে তো কথাই নেই। কাশতে কাশতে জীবন শেষ। কষ্ট আরও বাড়ে। তা ছাড়া দূষণের প্রকোপ তো রয়েছেই। হাঁপানিতে আক্রান্ত মানুষের কষ্ট দিন দিন বেড়েই চলছে। অনেকেই ভাবেন শ্বাসের সমস্যা হলে বোধহয় কোনো ব্যায়াম করা যাবে না। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে, যা হাঁপানির রোগীর জন্য ভালো। শ্বাসের সমস্যাও কমাতে পারে। কিছু ব্যায়াম রয়েছে, প্রতিদিন অভ্যাস করলে সেই কষ্ট অনেকটা কমে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, যে ব্যায়াম করলে আপনার হাঁপানির সমস্যা দূর করা সম্ভব—
ধনুরাসন ব্যায়াম : উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের ওপর নিয়ে আসুন। এবার হাত দুটো পেছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির ওপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এ ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক, হাঁটু ও ঊরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে ওপরের দিকে তাকান। এ ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তারপর আগের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এভাবে তিন থেকে চার করুন।
কপালভাতি ব্যায়াম : কপালভাতি ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। আরামদায়ক কোনো একটি আসনের ভঙ্গিতে বসুন, যা পদ্মাসন, বজ্রাসন বা সুখাসনও হতে পারে। মাথা ও মেরুদণ্ড সোজা রাখুন। চোখ বন্ধ করে আরামদায়ক অবস্থায় রাখুন গোটা শরীর। স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্বাস নিন। শ্বাস ছাড়ার সময় পেটের পেশির উওপর চাপ দিন। এ সময় দ্রুত শ্বাস নিতে ও ছাড়তে হয়। সবে শুরু করলে প্রতি ১০ বারে একটি সেট করুন। পাঁচটি সেটে সম্পূর্ণ হয় এই প্রাণায়ামের অভ্যাস।
অনুলোম-বিলোম ব্যায়াম : শ্বাসের সমস্যা কমাতে পারে অনুলোম-বিলোম ব্যায়াম। প্রথমে ডান দিকের নাকের ছিদ্র চেপে ধরে, বাঁ দিক দিয়ে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার কাজ করতে হবে। পরে বাঁ দিকের নাকের ছিদ্র চেপে ধরে, ডান দিক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ এবং বর্জনের অভ্যাস করতে হবে।
