শস্যমালা
কাজী নাসির মামুন
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বাজারের নাম শস্যমালা
সুতিয়া নদীর পাশে অতনু দেহের মতো সাবলীল মানুষের ভিড়
তামাগলা সূর্যের সিথানে তবু অরণ্যশোভন এই নীরবতা খান খান ভেঙে যাবে আজ
সরব উত্থানে কোন উজ্জীবন
জড়িয়ে রয়েছে এই প্রাণের পেখম জনতার?
তেমাথায় গোল হয়ে সুতিয়া নদীর পাশে অভিলাষহীন?
পণ্যের জঠরে বসে কেউ বুঝি জাদুর দোলক শুধু দু’হাতে নাড়েন
চিলতে রোদের মতো প্রতিপাদ্য সোনার হৃদয় এখানে দারুণ বেচাকেনা হয়।
মনের ব্যঞ্জনে খুব শিখর ছুঁয়েছি বলে মানুষের
আজ বাঁশি হয়ে যাই; উড়ে আসি রঙিন ফানুস আমি হাওয়ায় হাওয়ায় পলাতক।
উলম্ব গতির দিকে মুখ করে প্রতিভায় জেগে আছে গগন শিরীষ
একটি সজনে গাছ, পাতা নাই, ডালে ডালে নিরীহ বিকেল
মনে হয় ভৌতিক কঙ্কাল, শুধু নিরন্ন আঙুলগুলো থাবা মেলে আছে।
পাঁচটি সতীর্থ পাখি এই মাত্র সহসা দুর্বার উড়ে গেল
জীবনের ভাঁজে ভাঁজে পরিবৃত স্বাধীনতা কোথায় লুকিয়ে থাকে এতটা সুলভ?
শুকনো নদীর বুকে ফসলের ঢেউ...
প্রতিবর্ণ সভ্যতার সবুজ আগুন বুঝি জল কেড়ে নিল!
সুবর্ণ কৃষক ছাড়া লোল অভিশাপ তবে কে বুঝে এমন?
বনেদি বাড়ির দিকে ওইযে মেয়েরা তাই গগনবিদারী সুখ, তবু
নিরুপায় একটি বেদনা শুধু আঁচলে বেঁধেছে।
আর বুড়ো বৃক্ষের কোটরে থাকা কুণ্ডলীত সাপের মতো
অনন্য খোঁপায় তারা গুঁজে নিচ্ছে ফুল, সাদা জবা।
মোড়ল বাঁশের মতো আমার যৌবন কেন স্ফীত হয়ে যায়?
নিজেকে খরচ করে সজল ঋণের ভারে নুয়ে পড়ি।
আকাশ এখানে রোজ সহস্র মেঘের কুঁড়েঘর
হিমের কুন্তলে আজ জেগে আছে রমণী সুলভ।
আহা নারী! আমাকে ছোবল দাও,
সভ্যতা বিলীন করে অরণ্যবাসরে সমধিক নীলকণ্ঠ হয়ে উঠি।
