আরব উপদ্বীপ থেকে এক চিলতে ভূমি নেমে গেছে পারস্য উপসাগরে। নাম তার কাতার। আয়তনে সামান্য- মাত্র ১১ হাজার ৫৮১ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের তুলনায় ১৩ গুণ ছোট। লোকের বসতিও কম। ২০২০ সালের হিসাব মতে, ২৮ লাখ ৫০ হাজার বাসিন্দা থাকেন দেশটিতে। তাদের মধ্যে মাত্র লাখ তিনেক কাতারের নাগরিক। বাকিরা প্রবাসী। ২ লাখ ৮০ হাজার নাগরিক নিয়ে বাংলাদেশিরা বর্তমান কাতারের চতুর্থ বৃহত্তম জনগোষ্ঠী, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। জনসংখ্যার দিক দিয়ে কাতারে প্রথম অবস্থান ভারতীয়দের। ভারতীয়দের সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ, যা সেখানকার মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ। এর পরই রয়েছে নেপাল। কাতারের মোট জনসংখ্যার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ বা সাড়ে ৩ লাখ নেপালি। কাতারের স্থানীয় জনগণ মোট বসবাসকারীর মাত্র ১২ দশমিক ১ শতাংশ, সংখ্যায় যা ৩ লাখের সামান্য বেশি।
ওসমানীয় খেলাফতের পর কাতার ছিল আরব উপদ্বীপে ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গরিব। এক সময় অনেকটা বাসের অযোগ্য ছিল কাতার। লোকসংখ্যাও ছিল খুবই কম। মূলত জেলেরাই বাস করত। উপসাগর থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে পেট চালাত তারা। ১৯৭১ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর জেলেদের ওই মরু অঞ্চলটি ধীরে ধীরে পরিণত হয় আলীবাবার গুহায়। কাতার এখন পৃথিবীর ধনী দেশের তালিকায় প্রথম সারিতে। মাথাপিছু জিডিপি ও ক্রয়ক্ষমতায় বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী দেশ কাতার। কাতারের মাথাপিছু আয় ৮৮ হাজার ২২২ মার্কিন ডলার (প্রায় ৭৪ লাখ টাকা)। কাতারের পরেই ধনবান দেশের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ইউরোপের ছোট্ট দেশ লুক্সেমবার্গ, মাথাপিছু আয় ৮১ হাজার ৪৬৬ ডলার। তৃতীয় স্থানে এশিয়ার সিঙ্গাপুর, মাথাপিছু আয় ৫৬ হাজার ৬৯৪ ডলার। তালিকায় প্রথম দশে এরপর রয়েছে যথাক্রমে নরওয়ে (মাথাপিছু আয় ৫১,৯৫৯ ডলার), ব্রুনেই (৪৮,৩৩৩), সংযুক্ত আরব আমিরাত (৪৭,৪৩৯), যুক্তরাষ্ট্র (৪৬,৮৬০), হংকং (৪৫,৯৪৪), সুইজারল্যান্ড (৪৩,৯৫০) ও নেদারল্যান্ডস (৪০,৯৭৩)।
শুধু ধন নয়, মানেও এরা বড়। বিশ্ব রাজনীতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তুলে ধরেছে নিজেদের আলাদা পরিচয়। কাতারকে এখন বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় মধ্যস্থতাকারী দেশ। মধ্যপ্রাচ্যসহ এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক দেশের সংকটে দেশটি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে। দোহার দূতিয়ালিতে মার্কিন-তালেবানসহ বিবদমান পক্ষের মধ্যে বহু ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি হয়েছে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে দীর্ঘ ২০ বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ইতি এবং তালেবানরা ফের ক্ষমতায় ফেরার পেছনে নীরব ভূমিকা রেখেছে কাতার। যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানকে এক টেবিলে আনতে দীর্ঘ দিন ধরে মাঠ প্রস্তুত করেছিল দোহা। তালেবানদের স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে ভেতরে- বাইরে নানাভাবে সহযোগিতা করেছে দেশটি। সুদানের দারফুরে শান্তিচুক্তি, লেবাননে গৃহযুদ্ধের অবসান ও জিবুতি-ইরিত্রিয়ার সীমান্তবিরোধ নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রেখেছে দেশটি।
ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ আয়োজন করে গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে মরুর দেশ কাতার। এক যুগ আগেই ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজকের দায়িত্ব পেয়েছিল কাতার। ছোট্ট আয়তনের রক্ষণশীল মুসলিম এই দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে চলছিল নানা ধরনের সমালোচনা। কিন্তু সব সমালোচনার জবাব দিয়েছে কাতার মহাযজ্ঞের মাধ্যমে বিশ্বকাপ-২০২২ আয়োজন করে। কাতারের আজকের এই অবস্থানের পেছনের গল্পটা নিঃসন্দেহে পিতা-পুত্রের। সাহসী পিতা পথ তৈরি করেছেন। সেই পথ ধরে হাঁটছেন তার পুত্র। পিতার নাম শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি। পুত্র শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর মতো কাতারের বালির নিচেও লুকিয়ে ছিল তেল। সত্তরের দশকে কাতারে আবিষ্কার হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র ‘দ্য নর্থ ফিল্ড’। কিন্তু তখন গ্যাসের ব্যবহার এতটা ছিল না। কেবল পাইপ দিয়েই গ্যাস সরবরাহ করা হতো। আর ছোট ওই দেশে গ্যাসচালিত বড় কোনো কারখানাও ছিল না। তাই সেই গ্যাসে তেমন আগ্রহ দেখাল না উত্তোলকরা। সরকারেরও সামর্থ্য নেই। সুতরাং গ্যাসের আশা বাদ। এদিকে ২০ বছরের মধ্যেই আবিষ্কৃত খনি থেকে তেল প্রায় শেষ হয়ে যায়। এই কয়টা বছরে গরিব কাতার কিছুটা উন্নত হলেও পরে অবনতির দিকে নামতে থাকে। কাতার চলতে থাকল ধুঁকে ধুঁকে। ১৯৯৫ সাল। কাতারের আমির শেখ খলিফা বিন হামাদ আল-থানির ২৩ বছর ধরে শাসনে বাধ সাধলেন তাঁর ছেলে। বাবার ক্ষমতা কেড়ে নিলেন শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি। তিনি আবির্ভূত হলেন কাতারের রাজনীতির নায়ক হিসেবে। এসেই শুরু করলেন বদলে দেওয়ার কাজ।
বদলে দিতে হলে প্রথমে অর্থনৈতিক শক্তি দরকার। এই শক্তির অপার সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে মাটির নিচে। অনুসন্ধান চালিয়ে আবিষ্কার করলেন বড় বড় তেল- গ্যাসের খনি। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, শুধু সম্পদ থাকলেই হয় না। এর যুৎসই ব্যবহারও জানতে হয়। প্রাকৃতিক সম্পদ অফুরান নয়। ফুরিয়ে যেতে পারে। ধ্বংস হতে পারে। এই চিন্তা থেকেই বিকল্প পথ তৈরি চিন্তা ঢুকে তাঁর মাথায়। নিলেন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত। খুললেন ‘কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথোরিটি’। এই ইনভেস্টমেন্ট অথোরিটির মাধ্যমে বিশ্বের আনাচে-কানাচে জালের মতো ব্যবসা ছড়িয়ে দেয় কাতার। রিয়েল অ্যাস্টেট, হোটেল, অফিস, পর্যটন, অ্যাপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করল কাতার। রাশিয়া সরকারের তেল কোম্পানিতেও দেশটির বিনিয়োগ আছে। দেশের ভেতরটাও সাজাতে শুরু করল স্বপ্নের মতো করে। যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক হলো। বিলাসবহুল বিপণিবিতান হলো। ফলে ফুলে-ফেঁপে উঠল কাতারের অর্থনীতি।
হামাদ বিন খলিফা আল থানি এবার ঠিক করলেন, বিশ্বরাজনীতিতেও কাতারের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। তার বাবা ছিলেন সৌদি আরবের একরকম পুতুল। পুতুল হয়ে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। সম্পদের জন্য হামলে পড়তে পারে প্রতিবেশী যে কেউ। তাই সখ্য বাড়াতে শুরু করলেন মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ, দল ও নেতাদের সঙ্গে। সময়টা ১৯৯৬ সাল। শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানি প্রতিষ্ঠা করলেন ইলেকট্রনিক মিডিয়া আলজাজিরা। আলজাজিরা ঢেউ তুলল পৃথিবীতে। আফগানিস্তানে মার্কিন আক্রমণের সময় বিবিসি, সিএনএনসহ বিশ্বের ডাকসাঁইটে সংবাদমাধ্যমকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় আলজাজিরা।
২০১৩ সালে পূর্ণ হয় শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানির শাসনের ১৮ বছর। ততদিনে কাতারকে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। এবার সিদ্ধান্ত নিলেন অবসরের। ক্ষমতা হস্তান্তর করলেন তার ছেলে শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির কাছে। তখন তামিমের বয়স ছিল ৩৩। ১৯৮০ সালে জন্ম নেয়া তামিম উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন ব্রিটেনে। ক্ষমতা নেওয়ার পর বাবার মতো করেই দেশ চালাতে থাকলেন তামিম। কারও সঙ্গে বিরোধে জড়াতে চাননি তিনি। নিজের মতো করে চলতে চাইলেন শেখ তামিম। কিন্তু পদে পদে নাক গলাতে শুরু করল সৌদি আরব, আরব আমিরাত। কারও ‘বিগব্রাদার’ সুলভ আচরণে পাত্তা না দিয়ে নিজের মতো করেই চলতে লাগলেন তামিম। সম্পর্কের টানাপড়েনের এক পর্যায়ে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান ও আরব আমিরাতের তৎকালীন প্রিন্স বর্তমানে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বিন জায়েদ কাতার আক্রমণের ছক আঁকতে শুরু করেন। প্রথমে শুরু হয় বাকযুদ্ধ। সৌদি কর্তৃপক্ষের ভাষায়, কাতারের আমির একজন ‘বেপরোয়া শাসক’। অন্যদিকে কাতারের মতে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান একজন ‘প্রমোদ বালক’ এবং আরব আমিরাতের মুহাম্মদ বিন জায়েদ ইসরায়েলের একজন ‘ক্রীড়ানক’।
২০১৭ সালের জুন মাসের ৭ তারিখ সৌদি-আমিরাত জোট সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে কাতারের ওপর। অবরোধ অবসানে বেঁধে দেয়া শর্ত ছিল ১৩টি। প্রধান প্রধান শর্ত ছিল আলজাজিরার দরজা সিলগালা করা, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা, কাতারে তুরস্কের সেনা ঘাঁটি বন্ধ করা, তাদের ভাষায় সন্ত্রাসী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসকে অর্থ সাহায্য এবং রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়া। বাগ্বিত-ার এক পর্যায়ে সৌদি জোটের সাদ্দাম কর্তৃক কুয়েত দখলের মতো কাতার দখল করার প্রস্তুতির কথা জানতে পেরে কাতারের আহ্বানে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তুরস্কের সৈন্যরা কাতারে এসে পৌঁছে সীমান্ত এলাকায় শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যূহ তৈরি করে। ইরান তার আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দেয় কাতারকে। অবরুদ্ধ কাতারে টনে টনে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাঠাতে থাকে তুরস্ক ও ইরান। ফলে সৌদি বলয়ের অবরোধ মোকাবিলায় তেমন বেগ পেতে হয়নি কাতারকে।
কাতার কোনো শর্ত তো মানেইনি, বরং আগের পথেই হেঁটেছে। কাতার তুরস্ক, তিউনিসিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তানকে কাছে টেনে নিজস্ব বলয়ের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। এদিকে অবরোধের কোনো শর্তই কাতারকে মেনে নিতে বাধ্য করতে না পেরে তিন বছর পর স্বেচ্ছায় কাতারের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে বাধ্য হয় সৌদি-আমিরাত জোট। এই অবরোধের নেপথ্যে কারিগর ছিলেন তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও পরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র চাপে নিজ অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্যও হয়েছিলেন তিনি। সেই কথা তিনি পরবর্তী সময়ে অবলীলায় স্বীকারও করেছেন। কাতারে রয়েছে মার্কিন বিশাল সামরিক ঘাঁটি। এ অবস্থায়, কাতারে যেকোনো আগ্রাসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইমেজ ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে- এসব সাত-পাঁচ ভেবে সৌদির আহ্বানে কাতারের সঙ্গে সরাসরি বিরোধে জড়াননি বেপরোয় ট্রাম্প।
দ্য ইকোনমিস্ট ওই সময় এক নিবন্ধে উল্লেখ করেছিল, সৌদি জোটের অবরোধকে কাজে লাগিয়ে নিজ দেশের মানুষকে তীব্র জাতীয়তাবাদী করে তুলছেন কাতারের বর্তমান আমির শেখ তামিম। ব্যর্থ অবরোধের ফলে ব্যক্তিগতভাবে বিন সালমান এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সৌদি আরব ইমেজ সংকটে পড়ে। অর্থপূর্ণ রাজনীতির ময়দানে মুহাম্মদ বিন সালমান এবং মুহাম্মদ বিন জায়েদ ক্রমাগত হেরে গেছেন। দিনে দিনে সালমান যতটাই ফ্যাকাশে হয়েছেন, কাতারের আমির শেখ তামিম ততটাই নির্ভীক হয়ে চলেছেন।
এই মুহূর্তে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বিশ্বের অন্যতম আলোচিত ও সফল রাষ্ট্রনায়ক। জর্ডান-ভিত্তিক ‘দ্য মুসলিম ৫০০’-তে সর্বাধিক প্রভাবশালী মুসলিম হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে তাকে। এই ৫০০ জনের মধ্যে সর্বাধিক প্রভাবশালী ৫০ জনকে নিয়ে আরেকটি তালিকা করে সংস্থাটি। ২০২২ সালের এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কাতারের আমির। পরের দুটি স্থানে পর্যায়ক্রমে রয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। ২০২১ সালে তালিকার শীর্ষে ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, জনশক্তি ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে রয়েছে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী মাহদি সাইদ আল কাহতানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের কাতারের আমির বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা শেষে ঢাকা সফর করতে পারেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। আমরা আশা করছি, কাতারের আমির খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।
লেখক : কলামিস্ট ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক