ফটিকছড়িতে খানাখন্দে সড়ক বেহাল
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এমরান হোসেন, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সুয়াবিল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর হাজিরখীল গ্রামের ঈদগাহছোলা সড়কটির ৩ কিলোমিটার এলাকা বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি হাঁটু পর্যন্ত কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় এ গ্রামের ৫ হাজারের অধিক মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। সাদা চোখে দেখলেই মনে হবে সড়ক নয় যেন চাষের জমি। স্থানীয়রা জানান, সড়কটি এতোই বেহাল যে কোনো যানবাহন তো চলেই না, খালি পায়েও হেঁটে যাওয়া যায় না। কোনোরকম গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে পরতে হয় মহাবিপদে। সিএনজি অটো রিক্সা, মোটর রিক্সা ও মোটরসাইকেল উল্টে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে আহত হয়ে অনেক মানুষের হাত-পা ভেঙে গেছে। জানা যায়, ওই এলাকায় ১২০০ পরিবারের বসবাস। এই সড়ক হয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ উপজেলা সদর, নাজিরহাট বাজারসহ চট্টগ্রাম শহরে যেতে হয়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পরতে অসুস্থ রোগীকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে কোনো রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে কোলে করে নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। এম্বুলেন্স পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ নেই এখানে। ফলে অনেক প্রসূতি মাকে পড়তে হয় নিদারুণ দুর্ভোগে। ঈদগাহছোলা এলাকায় রয়েছে ২টি মাদ্রাসা। এছাড়াও শত শত স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হেঁটে যাতায়াতে প্রায়ই পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। সড়কটি বছরের অর্ধেকের বেশি সময় কর্দমাক্ত থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না। এছাড়াও এই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন কয়েকটি উচ্চ বিদ্যালয়, নাজিরহাট কলেজ ও কাটিরহাট কলেজে যেতে হয়। নিরুপায় গ্রামবাসী প্রায়ই মাটি ফেলে কাঁচা সড়কটি মেরামত করলেও বৃষ্টির কারণে তা বেশিদিন টেকসই হয় না। তাই এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি অবিলম্বে পাকা করার জোর দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সমাজকর্মী মো. রাসেল রাসু বলেন, বৃষ্টিবাদল ছাড়াও শুকনো মৌসুমে এ সড়কের অধিকাংশ স্থানে উঁচু-নিচু গর্ত থাকে। জনপ্রতিনিধি আসে আর কথার ফুলঝুঁড়ি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মুমিন জানান, ‘রাস্তা খারাপ হওয়ায় প্রতি ২৫ জনের মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী স্কুল মাদ্রাসায় আসে না।’
উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ জানান, সড়কটি এখনও আইডিভুক্ত হয়নি। সড়কটি আইডিভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সুয়াবিল ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জানতে পারলাম সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। সড়কটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
