হালদা নদীর ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর পেলেন জাতীয় মৎস্য পদক

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কামরুল ইসলাম বাবু, রাউজান (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। এই হালদা নদী জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান ৮০০ কোটি টাকা। আর এই সব অবদান যারা রাখেন, তারা হচ্ছে হালদা নদীর ডিম সংগ্রকারীরা। হালদা নদীর ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর পেলন জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৫। অনেক দেরিতে হলেও এবার জাতীয় মৎস্য পদক দিয়ে এ অবদানকে স্বীকৃতি দিল বাংলাদেশ সরকার।

কামাল সওদাগর হালদা নদীর পাড়ে তার বেড়ে উঠা। জীবনের শৈশব থেকে এখন পর্যন্ত হালদাকে বুকে আগলে রেখেছেন তিনি। দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে হালদা নদীতে রুই জাতীয় মা মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করে আসছেন। হালদা নদীতে মৎস্য খাতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রবীণ এই ডিম সংগ্রহকারী মো. কামাল উদ্দিন (সওদাগর) জাতীয় মৎস্য পদক-২০২৫ অর্জন করেছেন। তিনি প্রান্তিক চাষি ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে এই পদকে ভূষিত হলেন। গত সোমবার রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার হাতে এ পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মৎস্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এবারে মোট ৭টি ক্ষেত্রে মৎস্য খাতে অনন্য অবদানের জন্য মোট ১৬ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পদক প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কামাল উদ্দিন হালদা পাড়ের গ্রাম গড়দুয়ারার বকশী সিকদারের বাড়ি মৃত ছৈয়দ আহমেদের ছেলে। তিনি দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে হালদা নদীতে রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করে আসছেন। তার সংগৃহীত ডিম হতে উৎপাদিত পোনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহের মাধ্যমে দেশের মৎস্য খাতে বিশেষ অবদান রাখেন।