রামগড়ের মিনি মৎস্য হ্যাচারি সাত বছর ধরে বন্ধ

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নুরুচ্ছাফা মানিক, খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার তৈচালা পাড়ায় অবস্থিত মিনি মৎস্য হ্যাচারি দীর্ঘ সাত বছর ধরে বন্ধ পড়ে আছে। ফলে একদিকে পোনা ও রেণু সংকটে ভুগছেন স্থানীয় মৎস্য চাষিরা, অন্যদিকে অচলাবস্থার কারণে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ ও অবকাঠামো। এ অবস্থার দ্রুত সমাধান চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান সংশ্লিষ্টরা। তথ্য বলছে, রামগড় উপজেলার তৈচালা পাড়ায় ১৯৮৫ সালে স্থানীয়ভাবে রেণু ও পোনার চাহিদা মেটাতে এবং মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে নির্মিত হয় হ্যাচারিটি। কিন্তু শুরু থেকেই পরিচালনা নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। এটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে নাকি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ দ্বন্দ্বে কেটে যায় দীর্ঘ ২০ বছর সময়। ২০০৪ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে মৎস্য চাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প-এর আওতায় পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে তিন ধাপে হ্যাচারিটি চালু রাখা হলেও ২০১৮ সালের জুন থেকে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে এটি কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সরেজমিনে দেখা যায়, হ্যাচারিটিতে প্রায় ৩ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে ১০টি পুকুর। দীর্ঘদিন সংস্কার ও পরিচর্যার অভাবে সেগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে অচল অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাম্প, পানি সরবরাহ ব্যবস্থাসহ হ্যাচারি মূল্যবান যন্ত্রাংশ ও অবকাঠামো। প্রকল্প বন্ধ হওয়ার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ছেড়ে চলে গেছেন। বর্তমানে হ্যাচারিতে পড়ে আছেন কেবল আব্দুল মান্নান নামে একজন পাম্প অপারেটর। তিনি বলেন, ২০১৮ সাল থেকে বেতন নাই। স্থানীয় হওয়ায় কর্মকর্তাদের আশ্বাসে প্রকল্প পুনরায় চালু হলে কর্মসংস্থানের আশায় পড়ে আছেন। এলাকায় চায়ের দোকান এবং টমটম চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। খাগড়াছড়ি মৎস্য অফিসের তথ্য বলছে, জেলায় প্রতি বছর মাছের চাহিদা প্রায় ১৪ হাজার ৭৪৪ মেট্রিক টন। কিন্তু স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৪ হাজার ৭৫৬ মেট্রিক টন।