পিলারে স্রোত বাধাগ্রস্ত হয়ে টংকাবতী খালে ভাঙন
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদের রাজঘাটায় চট্টগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কস্থ টংকাবতী সেতুর পরিত্যক্ত পিলারের কারণে টংকাবতী খালের পানির স্রোত বাধাগ্রস্ত হয়ে খালের দুপাশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বিগত দুই বছরে খালের ভাঙনে কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আরও শতাধিক পরিবার খালের পাড় ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। সেইসঙ্গে নতুন সেতুর পিলারের গোড়ার মাটিও সরে গেছে। ফলে নতুন সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি পরিত্যক্ত পিলার দুটি সরিয়ে পেললে খালের স্রোত স্বাভাবিক গতীতে চলতে পারবে এবং খালপাড়ের ভাঙন রোধ হবে। এতে খাল পাড়ের বাড়িগুলো ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। তাদের দাবি দ্রুত পরিত্যক্ত পিলারগুলো সরানো হোক।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার আমিরাবাদের রাজঘাটাস্থ টংকাবতী খালের উপর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের টংকাবতী সেতুর পাশেই পুরাতন সেতুর ২টি পরিত্যক্ত পিলার খালের মাঝখানে রয়ে গেছে। ফলে খালের পানির স্রোত স্বাভাবিকভাবে চলতে না পেরে খালের পানি দুপাশের তীরে উঠে যায়। এতে প্রতিবছর বর্ষায় ভাঙনের কবলে পড়ে খাল তীরবর্তী শত শত বসতবাড়ি। তাছাড়া নতুন সেতুর পিলারের গোড়ার মাটিও সরে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল্লাহ চৌধুরী জানান, আমরা টংকাবতী নদী থেকে এই পরিত্যক্ত পিলার দ্রুত অপসারণ চাই। অতিদ্রুত এই পিলার এখান থেকে না সরালে আমাদের ভিটেমাটি নদীতে চলে যাবে। তাই পৈতৃক বসতভিটা রক্ষা করতে দ্রুত এই পিলারগুলো অপসারণের জোরদাবি জানাচ্ছি।
আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আলম জানান, পরিত্যক্ত পিলারটি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। খালপাড়ের বাড়িভিটে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি। এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদের পক্ষে যদি পিলারটি সরাতে কোনো রকম আইনি জটিলতা না থাকে তাহলে অতি দ্রুত ফিলারটি সরিয়ে ফেলা হবে।
