চট্টগ্রামের বে টার্মিনালের কাজে স্থবিরতা
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
এক যুগেও শুরু হতে পারেনি আগামীর বন্দর বলে খ্যাত বে টার্মিনালের কাজ। জোয়ার-ভাটার প্রভাব ছাড়াই যেকোনো দৈর্ঘ্যরে ১৩ মিটার ড্রাফটের (পানির নিচে জাহাজের গভীরতা) জাহাজ। ২০১৩ সালে এ প্রকল্পের শুরুর পর ২০১৪ সালে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এরইমধ্যে একনেক থেকে অনুমোদন ও ব্রেক ওয়াটারসহ অবকাঠামো নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের অনুমোদন হলেও বাস্তবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। কবে নাগাদ এ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও সংস্থাটির সচিব ওমর ফারুক জানান, প্রকল্পের ডিটেইলড ডিজাইনের কাজ এখনও চলমান। এ কাজ শেষ হলেই মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেই শুরুর কাজ কবে নাগাদ হতে পারে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুর দিকে কাজ শুরু হতে পারে।
দেশের সমুদ্র বাণিজ্যের অগ্রগতির জন্যই বে টার্মিনাল প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি বলে মন্তব্য করেন- চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) জাফর আলম। তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর আঞ্চলিক হাব হিসেবে কাজ করলেও বে টার্মিনাল চট্টগ্রাম বন্দরের ক্রমবর্ধমান চাপ সামাল দিতে কাজে লাগবে। এ ছাড়া দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য এগিয়ে নিতে বে টার্মিনালের বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন- সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে, শুরুর সময়ের আর্থসামাজিক ও ভৌগোলিক অবস্থানগত উপাত্তের পরিবর্তন হচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীদেরও কিন্তু সমস্যা হচ্ছে। ২০১৩ সালে বে টার্মিনাল নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নের পর ২০১৪ সালের মে মাসে ভূমি বরাদ্দের জন্য আবেদন করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সময়ে ভূমি বরাদ্দের ছাড়পত্রের জন্যও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (সিডিএ) আবেদন করা হয়। আবেদনের ১৭ মাস পর সিডিএ থেকে ছাড়পত্র পাওয়া যায়। অন্যদিকে অধিগ্রহণের প্রথম দফায় ৬৭ একর বরাদ্দ পায় ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বরে। পরে ৫০০ একর বরাদ্দ পেলেও এখনও ৩০৩ একর বরাদ্দের বাকি রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা এবং ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে পতিত বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী ২০২৪ সালে কাজ শুরুর কথা বলেছিলেন।
পরবর্তীকালে তিনি ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন বিভিন্ন সময়ে। তবে বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। সূত্র জানায়, বে টার্মিনালের ‘বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ (বিটিএমআইডিপি) নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
