ঢাকা রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে সফল উদ্যোক্তা

ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে সফল উদ্যোক্তা

চট্টগ্রামে হাটহাজারী বাণিজ্যিকভাবে কেঁচো দিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করে সফলতা পেয়েছেন উপজেলা ধলই এলাকার মো. ইজ্জাতুল হক। এই সার ব্যবহারে কৃষক ভালো ফলন পাওয়ায় দ্রুতই বাড়ছে এর প্রসার। ফলে খামার থেকেই উৎপাদিত সার বিক্রি করে এখন ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন তিনি। এছাড়াও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে মাটির গুণাগুণ ঠিক রাখতে কৃষকরা তার উৎপাদিত কেঁচো সারের দিকে ব্যাপকভাবে ঝুঁকে পড়ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলায় ২০ জন খামারি ও কৃষক সারা বছর ১৫০ মেট্রিক টন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করছেন। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করছে। উপজেলা পশ্চিম ধলই ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৃষক ইজ্জাতুল হক পেশায় একজন ছিলেন গাড়ি চালক, পরিবারের মুরব্বিদের নিষেধের পর নিজস্ব পতিত ১৩ শতক জমিতে মাছ চাষ করতেন পরবর্তীতে ২০১৩ সালে মার্চ মাসে উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি উদ্দ্যোগ নেন। কেঁচো ও গোবরে সমন্বয়ে উৎপাদিত সার আশপাশে কৃষকরা ক্রয় করে জমিতে সার হিসেবে ব্যবহার করত। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু করে বছরে ৪-৫ লাখ টাকা আয় করছেন।

কৃষক ইজ্জাতুল হক জানান, আগে অন্য পেশায় ছিলাম। পরবর্তীতে পারিবারিক নিষেধের পর সেই পেশায় ছেড়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় নিজের ১৩ শতক জমিতে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি শুরু করলাম। প্রতিমাসে এই সার বিক্রি করে লাখ টাকা আয় করছি। এই সার কৃষকরা জমির গুণাগুণ ঠিক রেখে অল্প খরচে নিরাপদ সবজি ও ফসল উৎপাদন করতে পারে এই লক্ষ্যে ভার্মি কম্পোস্ট সার নিয়ে কাজ করছি। উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দীন জানান, অনাবাদি পতিত জমি ও পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় কৃষক ইজ্জাতুল হককে কেঁচো সার উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপনের জন?্য একটি প্রদর্শনী দেওয়া হয়। প্রদর্শনী স্থাপনের পাশাপাশি সে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজে আরও বেশ কিছু রিং স্থাপন করে উৎপাদন কাজ অব?্যাহত রাখে। ফলশ্রুতিতে বছরে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা আয় করতে পারছে এবং পারিবারিকভাবে স্বচ্ছল হতে পেরেছে।

তিনি আরও জানান, কেঁচো সার প্রতি শতকে ৫-৬ কেজি দিয়ে পরপর দুবছর ব্যবহার করার পর জমি উর্বরতা শক্তি ফিরে এলে তখন আর তেমন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে কেঁচো সারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বেকার যুবকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প বিনিয়োগ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। এতেই ঝুঁকি ও পরিশ্রম কম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত