ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার তোলাবায়ে সাবেকিনের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন

চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার তোলাবায়ে সাবেকিনের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ খ্রি. শনিবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা নিকেতন চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার ২১২তম বার্ষিক সভা উপলক্ষে আঞ্জুমানে তোলাবায়ে সাবেকিন (প্রাক্তন ছাত্র সমিতি)-এর ত্রিবার্ষিক সম্মেলন বিপুল প্রাক্তন ছাত্রের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়।

আঞ্জুমানের সভাপতি মাওলানা মমতাজুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ওলি উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মোজাম্মেলুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে গেস্ট অব অনার ছিলেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিন, প্রধান বক্তা ছিলেন আঞ্জুমানের উপদেষ্টা ড. মওলানা ঈসা শাহেদী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আকম শাহেদ, প্রফেসর ড. শাযাআত উল্লাহ ফারুকী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক শাব্বির আহমদ, মুহাম্মদ সাজ্জাদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নাঈম নিমু, মাওলানা আহমদুল কবির, জসিম উদ্দিন কবির, জাহেদ রহমান প্রমুখ।

গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবুল আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিন বলেন, নৈসর্গিক সৌন্দর্যম-িত বাংলাদেশের প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা নিকেতন ‘উম্মুল মাদারেস’ নামে খ্যাত চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার ইসলামের সুমহান ঐতিহ্যের প্রতীকরূপে চিরভাস্বর হয়ে রয়েছে দুই শতাব্দীর বেশিকাল ধরে। তিনি তোলবায়ে সাবেকিনকে প্রীতির বন্ধনের অনবদ্য প্রয়াস আখ্যয়িত করে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও ঐতিহ্য রক্ষায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা নানাভাবে যে ভূমিকা রাখতে পারে, তার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার আঞ্জুমানে তোলবায়ে সাবেকিন। চুনতি হাকিমিয়া মাদ্রাসার ছাত্র হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান দাবি করে তিনি বলেন, কৈশোরের আকাশ-কুসুম স্বপ্নগুলোর শুরু হয়েছিল এই মাদ্রাসা থেকেই। এখান থেকেই স্বপ্ন দেখেছি ভালো মানুষ হওয়ার, সুন্দর ভবিষ্যতের। এখান থেকেই স্বপ্ন দেখেছি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মা-বাবা, প্রতিবেশী ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করার।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ড. মওলানা ঈসা শাহেদী বলেন, কোরআন-হাদিসের জ্ঞানচর্চা, ছাত্রদের আলেমসুলভ পোশাক ও চরিত্র এবং জনগণের আস্থা অর্জনের সব সূচকেই চুনতি হাকিমিয়া বাগানের সাফল্য অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। মাদ্রাসায় যখন দ্বীনি ইলমের চর্চা হয় আর ছাত্রদের জীবনে তার প্রভাব প্রস্ফুটিত হয়, তখন মাদ্রাসা শিক্ষার দরদি যে কারও মনে প্রশান্তি আসে। তিনি বলেন, আলিয়া নেসাবের মাদ্রাসাগুলোর বাহ্যিক উন্নতির অন্তরালে যে দৈন্য হাহাকার, তা নিরসনে শিক্ষক ও অভিভাবকরা কতগুলো মৌলিক প্রশ্নের সমাধান দিতে না পারলে নিউ স্কেমের চেয়েও করুণ ভাগ্য বরণ করতে বাধ্য হবে। মাদ্রাসার সার্বিক মান উন্নয়নের জন্য গ্রুপভিত্তিক নিবিড় পর্যবেক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে সম্মানিত শিক্ষকদের সময়োপযোগী পদক্ষেপ, সঠিক দিকনির্দেশনা, এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের সহযোগিতায় এবং ছাত্রীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি আগের গৌরব অক্ষুণœ রাখবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সম্মেলন শেষে মাওলানা মুহাম্মদ মমতাজুর রহমানকে সভাপতি, মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মাওলানা মসিহুল আজিম ছিদ্দিকী, অধ্যাপক শাব্বির, অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী, মাওলানা জোবাইর হোসাইন ছিদ্দিকী, মুহাম্মদ সাজ্জাদ খান, মাওলানা আবদুল মালেক ইবনে দিনার নাজাত, মাওলানা আ. ন. ম নোমান, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল আজিমকে সহসভাপতি, মাওলানা মুহাম্মদ ওলি উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০২২-২০২৪ সালের জন্য ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ এবং ১০১ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত