পবিত্র কোরআনের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহর নির্দেশিত পথ অনুসরণ না করায় কয়েকটি জাতি রাতারাতি ধুলায় মিশে গেছে। আজকে সেই আলোচনাই করব ইনশাআল্লাহ।
১. মাদইয়ান জাতি : তারা ছিলেন মুসলিম জাহানের জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) এর তৃতীয় স্ত্রী কাতুরার ঘরের পুত্র মাদইয়ানের বংশধর। আর হজরত শোয়াইব (আ.) প্রেরিত হয়েছিলেন মাদইয়ান সম্প্রদায়ের কাছে। ধারণা করা হয়, বর্তমান সিরিয়ার মুয়ান নামক স্থানে কওমে হজরত শোয়াইব (আ.) বসবাস ছিল।
মাদইয়ানবাসী পার্থিব লোভ-লালসায় এতটাই মত্ত হয়েছিল, তখন তারা পারস্পরিক লেনদেনের সময় ওজনে কম দিয়ে মানুষের হক আত্মসাৎ করত। দুর্নীতি, রাহাজানি, ছিনতাই, ধর্ষণ ও মজুদদারির মতো জঘন্য অন্যায় কাজ তাদের সমাজের মধ্যে বিষবাষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়ে। এসব পাপে তারা এমনভাবে লিপ্ত ছিল যে, তারা কখনও মনে করত না যে, এসব কাজ অত্যন্ত জঘন্য বা গর্হিত। বরং তারা এসবের জন্য গর্ববোধ করত। অবশেষে তারা যখন সীমালঙ্ঘন করে ফেলল তখন আল্লাহ তায়ালার গজব এসে গেল এবং তারা ধ্বংস হলো।
২. আদ জাতি : আদ জাতির লোকেরা ছিল উন্নত। নির্মাণশিল্পে তারা ছিল জগৎসেরা। তারা সুরম্য অট্টালিকা ও বাগান তৈরি করত। তাদের তৈরি ইরামের মতো অনিন্দ্য সুন্দর শহর পৃথিবীর আর কোথাও ছিল না। তারা অঙ্কন শিল্পেও ছিল দক্ষ। জ্ঞান-বিজ্ঞানে তারা যেমন অগ্রসর ছিল, তেমনি সংস্কৃতিতেও অনন্য। আদরা ভুলে গেল যে, আল্লাহ বা স্রষ্টা বলতে কেউ আছেন। তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা যে আল্লাহই তাদের দিয়েছেন, তাও তারা বেমালুম ভুলে গেল। ফলে তারা অহংকারী হয়ে উঠল এবং সত্যিকারের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ল।
আদ জাতির লোকদের সতর্ক করার জন্য আল্লাহ হজরত হুদ (আ.) কে দুনিয়ায় পাঠালেন। হজরত হুদ (আ.) আদ জাতির লোকদের গর্ব পরিত্যাগ করার আহ্বান জানালেন এবং আল্লাহর ইবাদত করার উপদেশ দিলেন। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে জীবন পরিচালনার কথাও বললেন। কিন্তু লোকেরা হুদ (আ.) এর কথা শুনল না, বরং তারা তার কথা প্রত্যাখ্যান করল। তাকে বোকা ও মিথ্যাবাদী বলে গালাগাল দিল। নবীর প্রতি এরূপ অন্যায় আচরণে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হলেন। ফলে আদদের এলাকায় দেখা দিল প্রচ- খরা। এতে তিন বছর তারা দুর্ভিক্ষের মধ্যে কাটাল। তারপরও তাদের স্বভাব-চরিত্রে কোনো পরিবর্তন হলো না। এবার সেখানে শুরু হলো ভয়ানক ঝড়। এই ঝড় সাত রাত ও আট দিন ধরে চলল। ফলে গোটা আদ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো। আল্লাহ তার রহমতে হজরত হুদ (আ.) ও তার অনুসারীদের রক্ষা করলেন।
৩. লুত (আ.) এর সাদুম জাতি : বিকৃত পাপাচারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল লুত (আ.) এর জাতি। ইরাক ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তী স্থানে এই জাতিটির বসবাস ছিল। এই জাতির কেন্দ্রীয় শহর ছিল ‘সাদুম’ নগরী। সাদুম ছিল সবুজ শ্যামল এক নগরী। কারণ এখানে পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল। ফলে ভূমি ছিল অত্যন্ত উর্বর এবং শস্যে ভরপুর। এমন প্রাচুর্যময় জীবনযাত্রা বেপরোয়া করে তোলে তাদের। শুধু তাই নয়, পৃথিবীতে তাদের মধ্যেই সর্বপ্রথম সমকামিতার প্রবণতা দেখা দেয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এই জঘন্য অপকর্ম তারা প্রকাশ্যে করে আনন্দ লাভ করত।
অবশেষে একদিন আল্লাহর গজব নাজিল হয় ওই পাপাচারী জাতির বিরুদ্ধে। তাদের ওপর মহাপ্রলয় নেমে আসে। এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পুরো নগরটি সম্পূর্ণ উল্টে দেয়। ঘুমন্ত মানুষের ওপর তাদের ঘরবাড়ি আছড়ে পড়ে। পাশাপাশি আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো কঙ্কর নিক্ষিপ্ত হতে থাকে। ওই মহাপ্রলয়ের হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। ওই জনপদের ধ্বংসাবশেষ এখনও বিদ্যমান।
৪. সালেহ (আ.) এর সামুদ জাতি : সামুদ জাতি শিল্প ও সংস্কৃতিতে পৃথিবীতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আদ জাতির পর তারাই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধিশালী জাতি। কিন্তু তাদের জীবনযাপনের মান যতটা উন্নতির উচ্চ শিখরে পৌঁছেছিল, মানবতা ও নৈতিকতার মান ততই নিম্নগামী ছিল। একদিকে উন্মুক্ত প্রান্তরে পাথর খোদাই করে করে প্রাসাদের পর প্রাসাদ তৈরি হচ্ছিল, অন্যদিকে সমাজে কুফর, শিরক ও পৌত্তলিকতার প্রসার ঘটছিল। অন্যায় ও অবিচারে সমাজ জর্জরিত হতে থাকে। সমাজে চরিত্রহীন লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। হজরত সালেহ (আ.) যে সত্যের দাওয়াত দিয়েছেন, তাতে নিম্নশ্রেণির লোকেরাই সাড়া দেয়। হিজর ছিল সামুদ জাতির কেন্দ্রীয় আবাসস্থল। এর ধ্বংসাবশেষ মদিনার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। বর্তমান শহর আল উলা থেকে কয়েক মাইল ব্যবধানে তা দেখা যায়।
সালেহ (আ.) সারা জীবন তাদের হেদায়েতের পথে আনার চেষ্টা করেছেন। এতে অল্প কিছু সঙ্গী ছাড়া গোটা জাতি তার অবাধ্যই থেকে যায়। এক পর্যায়ে তারা দাবি করে, আপনি যদি সত্যি নবী হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের ‘কাতেবা’ নামের পাথরময় পাহাড়ের ভেতর থেকে একটি ১০ মাসের গর্ভবতী, সবল ও স্বাস্থ্যবতী মাদি উট বের করে দেখান। এটি দেখাতে পারলে আমরা আপনার ওপর ঈমান আনব। সালেহ (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহর কুদরতে পাহাড় থেকে একটি অদ্ভুত রকমের মাদি উট বের হয়। তা দেখে কিছু লোক ঈমান আনে। কিন্তু তাদের সর্দাররা ঈমান আনেনি, বরং তারা সে মাদি উটকে হত্যা করে ফেলে। এতে সালেহ (আ.) তার জাতির ওপর আল্লাহর আজাব নেমে আসার ঘোষণা দেন। তিনি তাদের সতর্ক করে দেন যে, তিন দিন পরই আল্লাহর আজাব তোমাদের ধ্বংস করে দেবে।
নির্ধারিত সময়ে আসমানি আজাব এসে অবিশ্বাসীদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর সীমা লঙ্ঘনকারীদের মহানাদ আঘাত করে। ফলে তারা নিজ নিজ গৃহে উপুড় হয়ে পড়ে থাকে (ধ্বংস হয়ে যায়)। যেন তারা কখনোই সেখানে বসবাস করেনি। উদ্ধৃত সামুদ জাতির প্রতি হজরত সালেহ (আ.) এর হুঁশিয়ারি সত্যি বাস্তবায়িত হয়েছে। হঠাৎ একদিন প্রচ- শব্দে ভূমিকম্প তাদের নাস্তানাবুদ করে ফেলে। বজ্রপাতের ভয়ংকর শব্দে মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত ও আতঙ্কিত হয়ে যায়। অবশেষে তাদের অপমৃত্যু ঘটে।
৫. নুহ (আ.) এর জাতি : নুহ (আ.) এর জাতি মূর্তিপূজা করত। আল্লাহ তায়ালা নুহ (আ.) কে সুদীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। তিনি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মূর্তিপূজা ত্যাগ করতে বলেছেন। কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী অক্লান্তভাবে দাওয়াত দেওয়ার পরও তারা ইমান আনেনি। তিনি তার জাতিকে সত্যের পথে আনতে দীর্ঘ ৯৫০ বছর নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু তারা নুহ (আ.) এর দাওয়াত তাচ্ছিল্যভরে প্রত্যাখ্যান করে। তারা তাকে বলেছিল, ‘হে নুহ! যদি তুমি বিরত না হও, তবে পাথর মেরে তোমার মস্তক চূর্ণবিচূর্ণ করে দেওয়া হবে।’
বহু চেষ্টায় অল্পসংখ্যক মানুষ তার পথে এসেছিল। তার সময়ের সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা তার কথায় কর্ণপাত করেনি। নুহ (আ.) তাদের আল্লাহর শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেন। তবু তাদের চৈতন্যোদয় হয়নি। অবশেষে আল্লাহর আজাব আসে। এক ভয়ংকর প্লাবন ও জলোচ্ছ্বাস তার জাতির অবাধ্য লোকদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এমন প্লাবন সেই জাতিকে গ্রাস করেছিল, যেই প্লাবন হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে ইতিহাস হয়ে আছে। তখন নুহ (আ.) এর নৌকায় যারা আশ্রয় নিয়েছিল তারাই রক্ষা পেয়েছিল।
৬. মুসা (আ.) এর জাতি : নিজেকে খোদা দাবি করেছিল ফেরাউন। তার কাছে ইমানের দাওয়াত নিয়ে গিয়েছিলেন মুসা ও হারুন (আ.)। বিনিময়ে মুসা (আ.) কে হত্যা করতে মনস্থির করে ফেরাউন। সদলবলে ফেরাউন একদিন মুসা (আ.) কে ধাওয়া করে। তিন দিকে ঘেরাও হওয়া মুসার দলের সামনে ছিল উত্তাল সাগর। আল্লাহর হুকুমে সাগরে পথ সৃষ্টি হয়। নিজের দল নিয়ে মুসা (আ.) এই পথ দিয়ে সমুদ্র পার হয়ে যান। কিন্তু সাগরে ডুবে মারা যায় ফেরাউন। আল্লাহ তাকে পৃথিবীবাসীর কাছে দৃষ্টান্ত হিসেবে রেখে দিয়েছেন। তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় সাগরে নিমজ্জিত থাকার পরও তার লাশে কোনো পচন ধরেনি।
আজ সময় এসেছে আত্মজিজ্ঞাসার, আমরা পূর্বোক্ত জাতিদের অভিশপ্ত পথে পা বাড়াচ্ছি না তো! আমরা পার্থিব জীবনের লোভ-লালসায় এতটাই মত্ত হয়েছি, এখন আমরা পারস্পরিক লেনদেনের সময়ে ওজনে কম দিচ্ছি এবং মানুষের হক আত্মসাৎ করছি। ব্যক্তি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি, রাহাজানি, ছিনতাই, ধর্ষণ ও মজুদদারির মতো জঘন্য অন্যায় কাজ আমাদের সমাজের মধ্যে বিষবাষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এসব পাপে আমরা এমনভাবে লিপ্ত হচ্ছি যে, আমরা কখনও মনে করি না, এসব কাজ অত্যন্ত জঘন্য বা গর্হিত। বরং আমরা এসবের জন্য গর্ববোধ করি।
আমরা এখন আদ সাদুম জাতির লোকদের মতো নির্মাণশিল্প নিয়ে জগৎসেরা হওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। তারা সুরম্য অট্টালিকা ও বাগান তৈরি করত। আমরা এখন অহংকারী হয়ে উঠছি এবং ইসলামের সত্যিকারের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছি। রাসুল (সা.) বলেন, দাসী তার প্রভুর জননী হবে; আর নগ্নপদ, বিবস্ত্রদেহ দরিদ্র মেষপালকদের বিরাট বিরাট অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় গর্বিত দেখতে পাবে। (মুসলিম, ইফা-১)।
আমাদের মধ্যে এখন বিকৃত পাপাচার (সমকামী-লেসবিয়ান), পরকীয়া, অবৈধ সম্পর্ক গঠন যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে হজরত লুত (আ.) এর জাতির মতো। ইউরোপ, আমেরিকা অধিকাংশ দেশে এখন সমকামী, লেসবিয়ান বৈধ নাউযুবিল্লাহ। আর পৃথিবীর অন্যান্য দেশে প্রায় সময়ে এই বিকৃত পাপাচার গোপন থেকে প্রকাশ্যে চলে আসছে। আর লিভটুগেদার, পরকীয়া, ছেলেমেয়েদের অবাধে মিলামেশা যেন এখন পান্তা ভাতে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে নারীরা যেন হয়ে যাচ্ছে উন্মুক্ত বাধাহীন। দুনিয়াটা যেন নারীদের অবৈধ জারজ সন্তানে ভরে যাচ্ছে। রাসুল (সা.) বলেন, ইলম কমে যাবে, অজ্ঞতার প্রসার ঘটবে, ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে, স্ত্রীলোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে, এমনকি প্রতি ৫০ জন স্ত্রীলোকের জন্য মাত্র একজন পুরুষ হবে তত্ত্বাবধায়ক। (বোখারি, ইফা :-৮১)। অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ইলম লোপ পাবে, অজ্ঞাতার বিস্তৃতি ঘটবে, মদপান ব্যাপক হবে এবং ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে। (বোখারি, ইফা : ৫৭)।
আজ আমাদের সমাজে হজরত নুহ (আ.) এর জাতির মতো মূর্তিপূজা, ব্যক্তিপূজা, কুফর, শিরক ও পৌত্তলিকতার প্রসার ঘটছে। প্রতিনিয়ত সমাজ অন্যায় ও অবিচারে জর্জরিত হচ্ছে। আর আমাদের সমাজের চরিত্রহীন লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে, যা হজরত নুহ (আ.) জাতির মতো ধ্বংসের দিকে যাচ্ছি আমরা।
আমরা এখন যদি সতর্ক না হই, তাহলে আমাদের অবস্থা অন্যান্য জাতির ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে দেরি হবে না। আর মহান আল্লাহ তায়ালা যেহেতু অতিশয় মেহেরবান ও দয়াময়, তাই তিনি তাৎক্ষণিক শাস্তি প্রয়োগ করেন না। তিনি অবকাশ দেন, বারবার সুযোগ দেন। তা ছাড়া আমাদের প্রিয়নবী (সা.) আল্লাহ তায়ালার কাছে এ দোয়া করেছিলেন, যে তার উম্মতকে যেন আগেকার উম্মতের মতো শাস্তি, তথা মানবাকৃতিকে বানর, শূকর ইত্যাদির আকৃতিতে রূপান্তর, পাথরের বৃষ্টি, ভূমি উল্টিয়ে দেওয়ার মতো কঠিন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিনষ্ট করা না হয়। আর যেহেতু আমাদের পাপ সর্বত্র ছেয়ে গেছে, তাই বিভিন্ন প্রাকৃতিক আজাব (করোনাভাইরাস, অতিবৃষ্টি, ক্ষরা, বন্যা প্রভৃতি) আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সতর্ক সংকেত। আল্লাহ আমাদের সতর্ক করছেন, যাতে আমরা তওবা করে সতর্ক হয়ে যাই। মহান আল্লাহ বলেন, মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও জলে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিণামে তিনি কর্মের শাস্তির স্বাদ তাদের ভোগ করাবেন, যাতে তারা আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।’ (সুরা আর রুম : ৪১)। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সব ধরনের পাপাচার ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
আলোকিত ডেস্ক