
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নে কৃষি জমি, খাল ও পুকুরের মধ্যে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধসে যাচ্ছে এবং হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব ড্রেজার দিয়ে গ্রামাঞ্চলের হাওরে কৃষি জমি খাল, বিল ও পুকুর থেকে যত্রতত্র ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। বছরের পর বছর ধরে ড্রেজার মালিকরা এ অবৈধ কাজটি করলেও মাঝেমধ্যে অভিযান থাকলেও বেশিভাগ সময় প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই বললেই চলে। জানা গেছে, ড্রেজার দিয়ে উত্তোলনকৃত বালুর বেশিরভাগই স্থানীয় ঠিকাদাররা তাদের নির্মাণ কাজে ব্যবহার করে। সড়ক ও সরকারি স্থাপনার মেঝে ভরাট করা হচ্ছে এ বালু দিয়ে। ভূগর্ভস্থ এ বালুতে কাদামাটির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে মাটি মিশ্রিত এ বালু দিয়ে তৈরি সড়ক ও স্থাপনা টেকসই না হওয়ায় প্রতিবছর সরকারের উন্নয়ন কাজের কোটি কোটি টাকা গচ্ছা যাচ্ছে। মাটির নিচ থেকে কাদা বালু উত্তোলন করা হলে ভূমির উপরিভাগ ঠিক থাকলেও তলদেশের ব্যাপক জায়গা নিয়ে ফাঁকা হয়ে যায়। এভাবে প্রতিনিয়ত চলতে থাকলে বড় বড় স্থাপনা, রাস্তাঘাটসহ ব্যাপক এলাকা দেবে যেতে পারে। এটা পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি। এছাড়াও কৃষি জমি থেকে বালু উত্তোলন করা হলে কৃষি জমিগুলো অকৃষিতে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এভাবে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রয়েছে। অবৈধ মেশিনগুলোর মালিকরা ঘুরে ঘুরে হাওরের কৃষি জমি গ্রামের পরিত্যক্ত খাল, ডোবা ও পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করছে। বগী কাগাপাশা সড়কের লোহাজুরী সড়কের মধ্যবর্তী এলাকায় সরকারি সড়কের পাশের একটি কৃষি জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার বসিয়েছে স্থানীয় এক ব্যক্তি। তাই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকিতে পড়বে সরকারি সড়ক। লোহাজুরী সংলগ্ন হাওরের কৃষি জমি পাশে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন এক ড্রেজার মালিক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৫ থেকে ২০টি ড্রেজার রয়েছে। ডাক পড়লেই মেশিনপত্র নিয়ে গ্রামের আনাচে-কানাচে ছুটে যাচ্ছে ড্রেজার মালিক-শ্রমিকরা। সম্প্রতি এসব ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও বতসবাড়ি দেবে যাওয়ার বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।