ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নওগাঁয় দাম বাড়ার কাতারে মিষ্টি

নওগাঁয় দাম বাড়ার কাতারে মিষ্টি

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নওগাঁয় বেড়েছে মিষ্টির দাম। নওগাঁয় প্রকারভেদে মিষ্টির দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা। মিষ্টি তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শহরের মিষ্টিপট্টি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি শুকনা সাদা মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। কালো মিষ্টি, লাড্ডু ও রাজভোগ ২০০ টাকা কেজি। খেজুরি, রসকদম, দধিয়া এবং রসমালাই বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। এছাড়া সন্দেশ বা প্যারা সন্দেশ ৩৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা। প্রকারভেদে মিষ্টির দাম ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। সারা দই প্রতি কেজি ২০০ টাকা। তবে পাতিলের দই বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। মিষ্টির দাম বাড়লেও সারা দই ও পাতিল দইয়ের দাম আগের মতোই রয়েছে।

নওগাঁ শহরের ইসলামপুর রোডের মিষ্টিপট্টিতে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভিড় থাকে। এসব দোকানে বিভিন্ন পদের মিষ্টান্ন রয়েছে। মিষ্টির দাম বাড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। মিষ্টি তৈরির উপকরণ চিনি, তেল, ময়দা, ছানা, দুধ ও ডালডার দাম কয়েক দফা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, মিষ্টি তৈরির উপকরণের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তবে মিষ্টির দাম তুলনামূলক কম বাড়ছে।

বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন আসফাক হোসেন। থাকেন শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লার ভাড়া বাসায়। তিনি বলেন, আত্মীয়দের বাড়িতে যাওয়ার জন্য মিষ্টি কিনতে হয়েছে। যে মিষ্টি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ছিল এখন সেটা কিনতে হয়েছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি। মেসার্স আল-আমিন সুইটসের ম্যানেজার তুষার হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম লাগাম ছাড়া। বাড়তি দাম আমাদের জন্য যেমন কষ্টকর, তেমনি ক্রেতাদের জন্যও। মিষ্টির দাম শোনার পর ক্রেতারা চমকে উঠেন। গত ৬ মাসে কেজিতে ২০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে।

সাব্বির হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমান বাজারে মিষ্টি তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সে তুলনায় মিষ্টির দাম তেমন বাড়েনি। আগামীতে মিষ্টির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। নওগাঁ শহরের মিষ্টিপট্টির দাস মিষ্টান্ন ভা-ারের স্বত্বাধিকারী শিবু চন্দ্র দাস বলেন, গত ৬ মাসে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী। এতে আমাদের লাভ কম হচ্ছে। তবে সে তুলনায় মিষ্টির দাম বাড়েনি। বর্তমানে শ্রমিকদের মজুরি ২০০ থেকে হয়েছে ৪০০ টাকা। আগে মিষ্টি তৈরির উপকরণ চিনি ছিল ৬০ টাকা কেজি, এখন ৮০ টাকা। সয়াবিন তেল আগে ছিল ১০০ টাকা, এখন ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি। ডালডা ছিল ১০০ টাকা কেজি, এখন ২২০ টাকা। ২০০ টাকা কেজির ছানা এখন ৩০০ টাকা। ৩৫ টাকা কেজির ময়দা কিনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আগে খড়ি ছিল ২০০ টাকা মণ, এখন ৩০০ টাকা। এভাবে যদি দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের জন্য মিষ্টি তৈরি কঠিন হয়ে পড়বে। মিষ্টির দাম বাড়লে ক্রেতাদের পকেটেও টান পড়বে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত