ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ককপিট পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন

ককপিট পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন

বিশেষ পদ্ধতিতে কোনো প্রকার মাটি ছাড়াই প্লাস্টিকের সিডলিং ট্রেতে ককপিটের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের সবজির চারা উৎপাদন করছেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের কৃষক মাসুদ রানা। এই পদ্ধতিতে তিনি উন্নত জাতের হাইব্রিড আমজকি বেগুন, সাদা বেগুন, সবুজ বেগুন, মরিচ, পেঁপে, কুমড়াসহ উন্নত জাতের সবজির চারা উৎপাদন করছেন। ট্রেতে ককপিট পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করে স্বল্প খরচেই তিনি অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন বলে আশা করছেন ওই কৃষক। ককপিট পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়, নারিকেলের ছোবড়ার ভেতরের অংশগুলো গুঁড়ো করে পচানো হয়। পরে ট্রেতে দিয়ে বীজ রোপণ করা হয়। এতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জৈব পদার্থ হয়, যা মাটির গুণাগুণ বজায় রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। এ থেকে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত চারা পাওয়া যায়। চারা তুলার সময় শিঁকড় ছিড়ে যায় না। তাই রোপণের সঙ্গে সঙ্গে দৈহিক কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগেও চারা তৈরি করা যায় সহজেই। মাটির চারার তুলনায় আরো আগেই ফলন পাওয়া যায়। আলাদাভাবে চারার যত্ন নেয়াসহ সহজেই স্বল্প সময়ে সুষ্ঠু-সবল মানের চারা উৎপাদন করা যায়, যা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। কৃষক মাসুদ রানা জানান, তিনি ৪০ শতক জমির ওপর নিজের উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন নান্দনিক পলিনেট হাউজ। এখানে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন। পলিনেট হাউজের একাংশে ট্রেতে ককপিট পদ্ধতিতে উন্নত জাতের হাইব্রিড আমজকি বেগুন, সাদা বেগুন, সবুজ বেগুন, বিভিন্ন প্রকার মরিচ, পেঁপে, কুমড়াসহ উন্নতজাতের সবজি চারা উৎপাদন করে বিক্রি বিক্রি করছেন। এসব সবজির চারা উৎপাদন করে তিনি ওই এলাকার কৃষকসহ আশপাশের উপজেলায় বেশ সাড়া পেয়েছেন। ট্রেতে ককপিট পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করে খরচের তুলনায় অধিক লাভ পাওয়া যায়। প্রতিটি চারা উৎপাদনে খরচ হয় ৬০ থেকে ৭০ পয়সা। বিক্রি করতে পারেন দেড় টাকা থেকে আড়াই টাকা করে। ওই ভূমিতে তিনি ১ লাখ উৎপাদন করার সব ব্যবস্থা করেছেন। বর্তমানে ১৩ হাজার রোপণ করা আছে। কয়েক দিনের মধ্যে সব ট্রেতে বীজ বপণ করা হবে। পলিনেট হাউজে ট্রেতে চারা উৎপাদন সম্পর্কে তিনি জানান ভারি বৃষ্টিপাত, তাপ, কীটপতঙ্গ, ভাইরাসজনিত রোগ ইত্যাদির মতো প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে নিরাপদে চারা উৎপাদন করার এটি এক আধুনিক পদ্ধতি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত