ময়মনসিংহের নান্দাইলে বাণিজ্যিকভাবে গুলসা টেংরা ও পাবদা মাছ চাষে ঝুঁকছেন মৎস্য চাষিরা। অন্যান্য মাছ চাষে খরচের তুলনায় কম খরচে কয়েকগুণ বেশি লাভ পাওয়ায় চাষিদের গুলসা টেংরা মাছ চাষে বেশি আগ্রহ বাড়ছে। মিষ্টি জলের অত্যন্ত সুস্বাদু এই মাছটি এক সময় নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-দীঘি, হাওর, ধানক্ষেত, বর্ষায় প্লাবিত ভূমিতে সর্বত্র পাওয়া যেত। সাধারণত এসব জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে দেশীয় মিষ্টি জলের গুলসা টেংরা আগে বেশি পাওয়া গেলেও বর্তমানে কমে গেছে। কিন্তু মৎস্য দপ্তরের উৎসাহে মৎস্য চাষিরা চাষ করছেন সুস্বাদু এই মাছটি। বাজারে গুলসা টেংরা মাছের প্রচুর চাহিদা থাকায় হ্যাচারি ছাড়াও টেংরার কৃত্রিম প্রজননও করছেন চাষিরা। গুলসা টেংরা চাষের উপযোগী পরিবেশে পুকুর প্রস্তুত করে সঠিক পদ্ধতিতে অত্যন্ত সহজেই এই মাছের লাভজনকভাবে উৎপাদন করছেন নান্দাইল উপজেলার মৎস্য চাষিরা।
কাটলীপাড়া গ্রামের মৎস্য চাষি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সিরাজ আলী ফকির ১৭০ শতক জমিতে ৫টি পুকুরে গুলসা টেংরা ও পাবদা মাছ চাষ করেছেন। সিরাজ আলী ফকির বলেন, ১৭ কাঠা জমিতে ৫টি পুকুরে মাছ চাষ করে প্রতি বছর প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা আয় করতে পারছি। যা ধান চাষের তুলনায় ১০-২০ গুণ বেশি। সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছি গুলসা টেংরা চাষ করে। দশ কাঠা জমিতে পুকুরে টেংরা চাষ করে প্রতি বছর ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করি। এর মধ্যে খরচ হয় ৬-৭ লাখ টাকা।