
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া এলাকার কৃষক হাফিজুল ইসলাম। ৯ম শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়ে ইতি হয় লেখাপড়ার। তারপর থেকে কৃষি কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কৃষি অফিসের পরামর্শে এ বছর শাহি জাতের পেঁপে চাষ করে বেশ সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। মাত্র ১ বিঘা জমিতে ১ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রয় করে এলাকার কৃষকদের মাঝে সাড়া ফেলেছেন তিনি। গতকাল শনিবার হাফিজুল জানান, ২০১৫ সালে আমাদের চিথলিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সুকেশ রঞ্জন পাল আমাকে পেঁপে চাষ সম্পর্কে পরামর্শ দেন। কিভাবে বাণিজ্যিকভাবে এ পেঁপের চাষ করা যায় সেটা সম্পর্কে জানি। পরে কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করি পেঁপে চাষ। তিনি বলেন, ১ বিঘা জমিতে পেঁপের চাষ শুরু করি। গত বছর ২ বিঘা জমিতে পেঁপের চাষ করি। বিঘাপ্রতি আমার ২০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছিল। আর প্রায় ৯০ হাজার টাকার বেশি করে বিঘাপ্রতি পেঁপে বিক্রি করেছিলাম। তিনি আরও বলেন, এবছর আমি ৮ বিঘা জমিতে হাইব্রিড শাহি জাতের পেঁপের চাষ করেছিলাম। অতিরিক্ত বৃষ্টি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমার ৭ বিঘা জমির পেঁপে গাছ নষ্ট হয়ে যায়। সবে মাত্র এক এক গাছে ৬-৭ কেজি করে পেঁপে হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে গাছগুলো মরে গেল। তবে সে ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে আমার এই ২২ কাঠা জমির পেঁপেতেই। কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ বলেন, আমরা কৃষকদের বিনামূল্যে প্রণোদনায় সার, বীজ প্রদান করি। এছাড়া কারিগরি সহযোগিতা এবং পেঁপেসহ বিভিন্ন ফসল চাষের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করি।