শেরপুর ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় থেকে পাথর ও বালু লুটপাটের মহোৎসব চলছে। এসব পাথর ও বালু লুটপাটের বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে উপজেলার রাংটিয়া ফরেস্ট রেঞ্জের গজনী বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দের কাছে ফোনে জানতে চাওয়া হলে রাগান্বিত হয়ে তিনি বলেন আমাকে কোনো জিজ্ঞাসা করবেন না। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল গারো পাহাড়ের গজনী, হালচাটি, বাঁকাকুড়া, গান্দিগাঁও এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাহাড় কেটে ও পাহাড়ি নদী-ঝর্ণা থেকে অবৈধভাবে পাথর ও বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে। গভীর অরণ্যে দিনের বেলায় এসব পাথর ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর রাতের অন্ধকারে ট্রলি ও পিকাপে করে উত্তোলনকৃত পাথর বালু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হচ্ছে। জানা যায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খনিজ ও বনজ সম্পদে ভরপুর ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়। এ সৌন্দর্যকে ঘিরে ১৯৯৩ সালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনী মৌজায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় একটি পিকনিক স্পট। এ স্পষ্ট থেকে প্রতিবছর সরকারের ঘরে আসে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব। পাহাড় কেটে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে সৌন্দর্য হারাতে বসেছে গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্রের। জানা গেছে, বিগত বিএনপি সরকারের আমলে গারো পাহাড়কে পাথর মহাল ঘোষণা করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জনৈক বিএনপি নেতার নামে ইজারা দেয়া হয়। ওই ইজারাদারের লোকজন পাহাড় কেটে পাথর লুটপাট চালিয়ে আসছিল। আর পাহাড় কেটে পাথর লুটপাটের কারণে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে গারো পাহাড়। এতে গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে গারো পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষার্থে পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গারো পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়নি।