১২ রোহিঙ্গা উদ্ধার, চার পাচারকারী গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সমুদ্র উপকূল দিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে ১২ জন রোহিঙ্গা শিশু ও নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সময় মানবপাচারকারীচক্রের চার সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ৯টি শিশু রয়েছে। পাচারে জড়িত ৪ জন হলেন- নুরুল আমিন, নুরুল আফসার, মিনহাজ উদ্দিন ও আল আমিন। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন টেকনাফের বাসিন্দা, অন্যজন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দা। গতকাল সোমবার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী এলাকার পর্যটন বাজার থেকে ৫০০ গজ দূরে ফয়সাল নামের এক ব্যক্তির সুপারি বাগান থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী এলাকা পর্যটন বাজার থেকে ৫০০ গজ দূরে একটি সুপারি বাগানে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের আটকে রাখা হয়েছে- এমন সংবাদ পেয়ে ফয়সাল নামের ওই ব্যক্তির লিজ নেয়া সুপারি বাগানে অভিযান চালায় টেকনাফ থানা পুলিশ। ওই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারিরা পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তখন ৪ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার এবং পাচারের জন্য আটকে রাখা ১২ জন রোহিঙ্গা নারী ও শিশুকে উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্র মতে, উদ্ধার হওয়া সবাই মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক।
তারা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করেন। উদ্ধার রোহিঙ্গারা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাদের আর্থ-সামাজিক অনগ্রসরতা ও পরিবেশগত অসহায়ত্বকে পুঁজি করে উন্নত জীবনযাপন, অধিক বেতনে চাকুরি ও অবিবাহিত নারীদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়ে যৌন নিপীড়ন, প্রতারণামূলক বিয়ে ও জবরদস্তিমূলক শ্রমসেবা আদায়ের জন্য আটকে রেখেছিল। তাদের ৩/৪ দিন ধরে ধাপে ধাপে ওই সুপারি বাগানে এনে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য জড়ো করেছিল। এই ঘটনায় জড়িত আরো ১১ জন পলাতক । তারা দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচার সিন্ডিকেট গড়ে বাঙালি ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
