ঢাকা ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মসজিদের সামনে ময়লার স্তূপ, দেখার কেউ নেই

মসজিদের সামনে ময়লার স্তূপ, দেখার কেউ নেই

ভোলার দক্ষিণ আইচা বাজারে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। এতে ভোলা- দক্ষিণ আইচা থানার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন অবস্থিত বায়তুত তাক্কওয়া জামে মসজিদের সামনে বাজারের সব দোকানের ময়লা আবর্জনা ফেলে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মসজিদের মুসল্লিসহ স্থানীয়রা। তবে এমন পরিস্থিতিতেও এসব ময়লা-অবর্জনা অপসারণের উদ্যোগ নিচ্ছে না বাজার ব্যবসায়ী সমিতি। এ সব ময়লা-অবর্জনা দীর্ঘদিন পর্যন্ত না সরানোর কারণে সেখান থেকে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে বৃদ্ধি পেয়েছে মশা-মাছির উপদ্রব। মসজিদের পাশে রয়েছে চরআইচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ক্যাডেট স্কুল ও মাদরাসা এবং কলেজসহ বিভিন্ন অফিস। এনপথ দিয়ে যাতায়াত করে স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।

ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে তারা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, মসজিদের সামনে মলার ভাগাড়ের দুর্গন্ধ ভেসে আসে, যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার বলার পরও এখানে ময়লা ফেলানো বন্ধ হচ্ছে না। ওই মসজিদের কয়েকজন মুসল্লি জানান, মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ পড়তে আসার সময় ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে মুসল্লিদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ব্যসবায়ীদের নিষেধ করা হলেও তারা দোকানপাটের ময়লা এখানেই ফেলছেন। তবে কেউ মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে ময়লা-আবর্জনা সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন না। দক্ষিণ আইচা ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি আছে, অথচ তারা বাজারের পরিবেশ সুন্দর রাখতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বাজারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়েও চরম উদাসীন তারা। এ ছাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে ময়লা ফেলানো জঘন্যতম কাজ। তাই সেখান থেকে দ্রুত ময়লাগুলো অপসারণের দাবি করছি। দক্ষিণ আইচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক মো. মোস্তাফিজ মেম্বার বলেন, দক্ষিণ আইচা বাজারের কোনো ময়লা ফেলার স্থান নেই। মসজিদের সামনে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের জন্য আমাদের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। জায়গা নির্ধারণের করতে না পারায় সেখান থেকে ময়লা-অবর্জনা সরাতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে কিছু দিনের মধ্যে ময়লাগুলো সরিয়ে নেয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত