ঢাকা ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাবেক আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৭ জনকে হত্যার অভিযোগ

সাবেক আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৭ জনকে হত্যার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতায় থাকাকালে তার নির্বাচনি এলাকার ১৭ জনকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। গতকাল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার তিনলাখ পীর এলাকায় আয়োজিত উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলা হয়। সম্মেলনের স্বাগতবক্তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক জিয়ার ঘনিষ্টজন ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. কবির আহমেদ ভূঁইয়া এ অভিযোগ তুলেন। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রীর আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর জেল খাটিয়েছে। জুলুম, অত্যাচার করেছে। দেশ তার কব্জায় ছিল। পুলিশ বাহিনী, সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে সম্মেলন বানচাল করায়। আমাদের দুর্ভাগ্য তিনি আমাদের এলাকার সন্তান। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদেরকে আগুনে ফেলে পালিয়েছে। তার দোসররা এখন বিএনপিতে আসতে চায়। আমরা তাদেরকে আনবো না। যে নিয়ে আসতে চাইবে তাকেও ক্ষমা করবো না। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া। প্রধান বক্তা ছিলেন কুমিল্লা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এমএ মান্নান, সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নূরে আলম সিদ্দিকী, বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, শরীফুল ইসলাম স্বপন, ইকলিল আজম, আসাদুজ্জামান শাহীন কামাল উদ্দিন, শাহীনূর রহমান, সমীর চক্রবর্তী, এডভোকেট ইসমত আরা সুলতানা, শামীমা বাছির স্মৃতি প্রমুখ। মোস্তাক মিয়া তার বক্তব্যে বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী দেশটাকে কলংকিত করেছে। ওনি রায় লিখে দিতেন বিচারক রায় পড়তেন। কসবায় এসে ওনার লোকজনের হামলায় শিকার হয়েছি। এখন তারা যেন কোনো ভাবেই আমাদের সঙ্গে ভিড়তে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রধান অতিথি সেলিম ভূঁইয়া বলেন, আইনমন্ত্রী ছিলেন বেআইনী মন্ত্রী। কারণ ওনার সরকারই ছিল অবৈধ সরকার। আর ওনি তো ছিলেন এভনরমাল লোক।

তাই ওনাকে নিয়ে আমার বলার কিছু নাই। তিনি বলেন, বেআইনী মন্ত্রী দরবেশকে (সালমান এফ রহমান) ধরিয়ে দিয়েছিলেন। দাঁড়ি গোঁফ কাটায় দরবেশকে পুলিশ চিনতে পারে নাই। এক নৌকাতে থাকা বেআইনী মন্ত্রী তাকে দেখিয়ে দেন। কি বন্ধুত্বের নিদর্শন এটা। তিনি বলেন, এই সরকারের রাজনৈতিক দল নাই। তাই আমরা তারেক রহমানের নির্দেশে সরকারকে সহযোগিতা করছি। ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিন। কারণ পরিবেশ আছে। আওয়ামী লীগ নাই পালিয়ে গেছে। আমরা আপনাদেরে সহযোগিতা করছি এ সুযোগ নিয়ে যদি মনে করেন নরম গদিতে আরামে আছেন তাহলে গদি শক্ত হতে সময় লাগবে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত