হাঁসের খামারে স্বাবলম্বী

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শওকত হোসেন, ধামরাই (ঢাকা)

সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ বছর আগে পুঙ্গু হয়েছেন আমজাদ হোসেন (৪৫) চলাচলের একমাত্র উপায় হুইলচেয়ার, দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকার পর ইউটিউবে চোখে পরে হাঁস পালনে সফলতা, উদ্বুদ্ধ হয় হাঁস পালনের উদ্যোক্তা হওয়ার, তার পরেই স্ত্রী কে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন হাঁসের খামার। ধামরাই উপজেলা নান্নার ইউনিয়নের ধাইরা গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন নিজের ৩০ শতাংশ ও আরো ৪০ শতাংশে পুকুর লিজ নিয়ে মোট ৭০ শতাংশের পুকুরে ১ হাজার বাচ্চা নিয়ে গত ৫ বছর পূর্বে শুরু করেন এ হাঁসের খামার। বর্তমানে তিনি প্রতিদিন খামার থেকে উৎপাদন পাচ্ছেন ৫/৬ হাজার ডিম, যাহা বিক্রি করে প্রতিদিনের খরচ বেয়ার করেও লাভ গুনছেন পনেরশত থেকে দুই হাজার টাকা।

প্রতিবন্ধী উদ্যোগতা আমজাদ হোসেন বলেন আমি আগে ট্রলিগাড়ি চালাতাম, সড়ক দুর্ঘটনায় আমার মেরুদণ্ড ভেঙে যায়, আমি হয়ে যাই প্রতিবন্ধী, আমার আয় ইনকাম বন্ধ হয়ে যায়। স্ত্রী সন্তান নিয়ে বিপাকে পরে যাই, হঠাত একদিন মোবাইলে ইউটিউব দেখছিলাম, চোখে পরে হাঁস পালনের প্রোগ্রাম, উৎসাহ যাগলো খামার করবো, পরে স্ত্রী সন্তান ও ছোট ভাইয়ের সহযোগীতায় শুরু করি খামার তৈরির কাজ। ইনভেস্টসহ খরচ হয় ৭ লাখ টাকা, আমি সকাল থেকে রাত্র পর্যন্ত হুইলচেয়ারে বসে খামার পাহারা দেই ও ওদের দিকনির্দেশনা দেই, সে মতে ওরা আমাকে সহযোগিতা করে, বর্তমানে আমার খামার থেকে মাসে ৪০/৪৫ হাজার টাকা আয় আসে, যা দিয়ে আমি স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভালো আছি, তবে সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে আমার খামার টি আরো প্রসারিত করা যেতো। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান বলেন আমজাদ আমার ওয়ার্ডের লোক, সে সড়ক দুর্ঘটনায় পুঙ্গ হলেও আমাদের কাছে কখনো সাহায্য সহযোগিতার জন্য আসেনি। তার নিজ উদ্যোগে হাঁসের খামার করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই।