নওগাঁয় ধানের দাম বেড়েছে মণে ৫০-৬০ টাকা

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্বাস আলী, নওগাঁ

নওগাঁয় বাজারে উঠতে শুরু করেছে আমন ধান। তবে সরবরাহ কমায় বেড়েছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে সবধরনের ধানের দাম প্রতিমণে ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে। তবে এক মাসের ব্যবধানের বেড়েছে মনে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক। জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি হাটে স্বর্না-৫ ধান ১৪৪০-১৪৫০ টাকা, ব্রি-৪৯ জাতের ধান ১৫০০ টাকা, ব্রি-৫১ জাতের ধান ১৪১০-১৪২০ এবং চিনিগুড়া ২১০০-২২০০ টাকা মন। এ ছাড়া ইরি বোরো মৌসুমে পুরোনো ধান মনে ৩০-৪০ টাকা বেড়ে জিরাশাইল, কাটারিভোগ ও সুভলতা ১৬৫০-১৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার সদর উপজেলার কীত্তিপুর হাট, মান্দা উপজেলার সতিহাট ও দেলুয়াবাড়ি হাট, নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতরা হাটে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ধানের দাম বাড়ার একই চিত্র। এ বছর মৌসুমের শুরু থেকেই আমন ধানের বাজার ঊর্ধ্বগতি। প্রতিহাটে ধানের দাম বাড়ছে। কৃষকরা বলছেন- হাটে ধানের পরিমান কম আসছে। সে তুলনায় ব্যবসায়ির সংখ্যা বেশি। প্রতিযোগীতা করে বেশি দামে ধান কিনতে হচ্ছে। এতে বেড়েছে দাম। বর্তমানে বাজারে সবকিছুর দাম উধ্বগতি। সে তুলনায় বেশি পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। মহাদেবপুর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কৃষক উৎপল চন্দ্র বলেন, এক সপ্তাহ আগে ধান বিক্রি করেছি ১ হাজার ৪৮০ টাকা মই দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে মইে বেড়েছে ৫০-৬০ টাকা। ব্রি-৪৯ জাতের ধান ১ হাজার ৫৩০ টাকা মণ। ৫ মই বিক্রি করেছি। দাম বাড়ায় খুশি। তবে ধানের দাম ১৫শ টাকা মণ হলে সুবিধা হবে। কারণ বর্তমানে সবকিছুর দামই ঊর্ধ্বগতি। এ ছাড়া কীটনাশকের দামও কমানো দরকার। মান্দা উপজেলার মহানগর গ্রামের কৃষক রুবেল হোসেন বলেন, স্বর্না-৫ জাতের ধান বিঘাতে ১৫-১৭ মণ ফলন হয়েছে। এবার পোকার কিছুটা উপদ্রুব হওয়ায় ফলন কিছুটা কম হয়েছে। বিঘাপ্রতি খরচ পড়েছে ৮-৯ হাজার টাকা। তাপরও বাজারে ১৪১০ টাকা মন দরে কয়েক মন বিক্রি করেছি। দাম ভালো থাকায় সুবিধা হয়েছে।

আড়তদার আফজাল হোসেন বলেন- কৃষকরা প্রয়োজন ছাড়া হাটে ধান বিক্রির জন্য নিয়ে আসছে না। এ কারণে হাটে ধানের পরিমাণ কম। চাহিদা মতো ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

বাধ্য হয়ে বেশি দামে ধান কিনতে হচ্ছে। নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, আমন মৌসুমের শুরু থেকে ধানের বাজার ঊর্ধ্বগতি। চাহিদা মতো ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। কারণ হিসেবে দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা কবলিত হয়েছে। ওইসব চাল সরবরাহ করায় চালের দামও ঊর্ধ্বগতি।

শিগগিরই ধানের দাম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে-এ বছর জেলায় ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি থেকে ৯ লাখ ৮৪ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।