সেলিম তালুকদারের পরিবারকে তারেক রহমানের উপহার
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহতের সাত মাস পরে ঝালকাঠি নলছিটির সেলিম তালুকদার রমজান কন্যা সন্তাানের বাবা হওয়ায় তার স্ত্রীর হাতে ক্লিনিকের সমস্ত খরচ ও উপহার পাঠিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাকের রহমান। তার পক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু নগদ টাকা ও উপহার সামগ্রী সেলিমের স্ত্রী সুমি আক্তারের হাতে তুলে দেন। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু বলেন, শহিদ সেলিম তালুকদারের মৃত্যুর পরে আমরা তারেক রহমানের নির্দেশে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম।
এখন আবার তার সন্তান হয়েছে, এই সন্তানকে তিনি দেখে যেতে পারেন নি। এটা অসম্ভব বেদনাদায়ক। তাকের রহমান এ খবর শুনে সেলিমের স্ত্রীর সিজারিয়ান অপারেশনের সমস্ত খরচ এবং উপহার সামগ্রী দিতে বলেছেন। আমরা তার পক্ষ হয়ে এগুলো নিহতের স্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছি। ভবিষ্যতের সেলিমের পরিবারের পাশে থাকবে বিএনপি।
উল্লেখ্য, ৮ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝালকাঠি শহরের একটি ক্লিনিকে সেলিম তালুকদারের স্ত্রী সুমির কোলজুড়ে সন্তান আসে। বাবার ডাক নামের সঙ্গে মিলিয়ে নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে রোজা। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সেলিম ছিলেন মেঝো। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। গত ১৮ জুলাই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩১ জুলাই রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত সেলিমের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা শহরের মল্লিকপুর এলাকায়। তিনি নারায়ণগঞ্জের মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস লিমিটেডের সহকারী মার্চেন্ডাইজার পদে চাকরি করতেন। মারা যাওয়ার এক বছর আগে ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি মুসলিমপাড়া এলাকার মতিউর রহমান চুন্নুর মেয়ে সুমিকে বিয়ে করেন সেলিম। মারা যাওয়ার ৪ দিন পর সুমি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরীক্ষা করিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন অন্তঃসত্তা তিনি। মারা যাওয়ার আগে সেলিম তালুকদার জানতেন না সন্তানের বাবা হতে চলছেন তিনি।