সিরাজগঞ্জে যমুনার তীব্র ভাঙনে ফসলি জমি বিলীন
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এরইমধ্যেই বহু চরাঞ্চলের কাশবনসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় প্রবল বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর, কাজিপুর উপজেলার সোনাতনি চর, ধিতপুর, বারপাকিয়া, চরঠুটিয়া, নাটোয়ারপাড়া, তেকানি, নিশ্চিন্তপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারি চর, কাটাঙ্গা চর, মেছড়া চর, গোটিয়ার চরসহ বিভিন্ন চরে ভাঙন এখন তীব্র আকার ধারণ করছে। এ ভাঙনে এরইমধ্যে চরাঞ্চলের আঁখ, পাট ও বাদামসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। চরাঞ্চলের কৃষকেরা বলছেন, প্রতিবছরই চরাঞ্চলে এ ভাঙন দেখা দেয়। এতে বহু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে থাকে। এ বছরের বিভিন্ন সময়ে চরাঞ্চলের ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় প্রবল বর্ষণে এ ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। অনেক কৃষকের বিভিন্ন ফসলি জমিও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে চলে গেছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে চরাঞ্চলও নিশ্চিহৃ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে চরাঞ্চলের বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হবে এবং চরাঞ্চলের গো- চারণসহ বিভিন্ন ফসল চাষে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডেও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রতিবছরে বিভিন্ন সময়ে চরাঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়ে থাকে এবং এ পরিস্থিতি চরাঞ্চলবাসীর নতুন কিছু নয়। তবে সপ্তাহ ধরে বর্ষণে চরাঞ্চলে এ ভাঙনের তীব্রতা কিছুটা বেড়েছে এবং বালুর চরে এ ভাঙন রোধে আমাদের করার কিছু নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।