মঠবাড়িয়ায় মুবিন হত্যার ঘটনায় মামলা
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে মঞ্জুর মোর্শেদ মুবিন (২৪) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের ভাই মিনহাজুল আবেদীন মুহিত বাষউ হয়ে গতকাল শনিবার ১২ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। নিহত মুবিন মঠবাড়িয়া বণিক সমিটির সভাপতি ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক ইদ্রিস আলী মহারাজের ছেলে এবং উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নে। মামলার আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম রনি, মর্তুজা হাসান তিহাম, তানভীর, রিফাত হোসেন, ফাহাদ চৌকিদার, হৃদয় হোসেন, শাওন মিয়া, মুমিন খান, সাব্বির হোসেন, সাইফুল ইসলাম, নাঈম (২২) ও ইমাম হোসেন। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে মামলার স্বাক্ষী টিকিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দারের ছেলে সাজিদ জমাদ্দার গত ১৬ জুলাই বাসা থেকে বের হয়ে হারুন কমিশনারের বাসার সামনে পৌঁছালে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তানভীর ও রিফাত নামের দুই যুবক তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় সাজিদ একই এলাকার মুবিনকে ফোন দিলে মুবিন ঘটনাস্থলে এসে তাতে বাঁধা দিলে মুবিনের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তানভীর ও রিফাত মুবিনকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার জের ধরে আসামীরা চাইনিজ চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের সনি র্যাংকস শো-রুমের উত্তর পার্শ্বে জমাদ্দার বাড়ি রোডের সম্মুখে প্রিন্স হোটেলের সামনে মুবিন, তার সঙ্গে থাকা তামিম ও রাহাতকে এলাপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা আহত মুবিন, তামিম ও রাহাতকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে মুবিন ও তামিমকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে মুবিন মারা যায়। মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মুবিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রফিকুর ইসলাম রনি আরও একটি হত্যা মামলার আসামি।
