৭০ পেরোলেও বয়স্ক ভাতা পাননি ঈশ্বরদীর জাহির
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলমাস আলী, ঈশ্বরদী (পাবনা)

পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পূর্ব নূরমহল্লা (বস্তিপাড়া) এলাকার বাসিন্দা জাহির উদ্দিন (৭০)। বয়সের ভারে নেতিয়ে পড়লেও এখনও তিনি বয়স্ক ভাতা পাননি। অসচ্ছল পরিবার আয় রোজগারের কোনো মানুষ নেই। তার স্ত্রী অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করে যা কিছু পেয়ে থাকেন দুজন মিলে ভাগাভাগি করে খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করেন। বড় ছেলে আগে মারা গেছেন। জাহির উদ্দিন পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন। অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতেন। বয়স বেড়ে যাওয়ায় শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে। এখন কোনো কাজ করতে পারেন না। অভাব অনটনের মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে।
জাহির উদ্দিন আক্ষেপ করে বলেন, জানিনা আর কতো বয়স হলে আমি বয়স্ক ভাতা পাবো। সংসারে আয় রোজগারের কোনো মানুষ নেই। যখন সুস্থ ছিলাম তখন অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতাম। বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা রোগ শোকে আক্রান্ত। তাই এখন আর কাজ করতে পারি না। আমার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে যা কিছু পান দুজন মিলে ভাগাভাগি করে খেয়ে দিন পার করছি। রেলের জায়গাতে ঘর করে মাথা গোজার ঠাঁই টুকু আছে। মান সম্মানের কারণে অন্যের কাছে হাত পেতে কিছু চাইতে পারি না। আমার এলাকার অনেকেরই বয়স্ক ভাতা হয়েছে। কিন্তু আমার কেন ভাতা হয় না এ বিষয়টা আমার জানা নেই। ভোটের সময় অনেকেই ভোট নিতে আসেন। তখন তারা প্রতিশ্রুতি দেন বয়স্ক ভাতার কাজ করে দিবেন। ভোট চলে গেলে আর তাদের দেখা পাই না। আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি আমার জীবন বাঁচাতে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করুন। বয়স্ক ভাতা হলে যা কিছু পাওয়া যাবে সেই টাকা দিয়ে ওষুধ পানি কিনে খেতে পারবো।
ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বলেন, জাহির উদ্দিনের অনেক বয়স হয়েছে। তার ভাতা পাওয়াটা খুবই জরুরি। জাহিরের বাড়িতে আয় রোজগারের কোনো মানুষ নেই। বয়সের ভারে এখন তিনি কাজকর্ম করতে পারেন না। তার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে যা কিছু পান তাই দিয়ে দুইজনার পেট চলে। অতি দ্রুত জাহিরের বয়স্ক ভাতা কার্ড হওয়া প্রয়োজন।
