ভাণ্ডারিয়ার জোড়া খুনের আসামি মুন্সিগঞ্জে গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি বাদল খানকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১০। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা বাদল খান মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে পালিয়ে ছিল। গোপন সংবাদেরভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে র‍্যাব-১০ একটি চৌকস দল তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত শুক্রবার রাতে তাকে ভাণ্ডারিয়া থানায় আনা হয়েছে এবং দ্রুত তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

উল্লেখ্য গত ৫ মে ২০২৫ উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জেরে বাদল তার স্ত্রী চম্পা বেগম (৩২) এবং শ্বাশুড়ি বিলকিস বেগমকে (৫০) গলাকেটে হত্যা করে। হত্যার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য লাশে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ধাওয়া বাজারের মুদি দোকানি বাদল খানের সঙ্গে চাচাতো বোন চম্পা বেগমের সঙ্গে ২০ দিন পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই চম্পাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে বাদল। চম্পাকে বিবাহের আগেও বাদল আরও তিনটি বিয়ে করে। তার নির্যাতনে শিকার হয়ে আগের তিন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। ৫ মে রাত আনুমানিক ১১টার পারিবারিক কলোহের জেরে স্ত্রী চম্পা বেগম ও বৃদ্ধ শাশুড়ি বিলকিস জাহানকে দাও দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে ফেলে লাশ আগুন লাগিয়ে দেয়। এই সময় ঘরে থাকা বাদলের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর শিশু ছেলে ইয়াসিন (১০ বছর) ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে ঘটনাটি পাশের বাড়ির লোকজনকে জানালে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে ততক্ষনে ঘাতক বাদল পালিয়ে যায়।