তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে

লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আরিফুর রশীদ, লালমনিরহাট

তিন দিনের টানা ভারী বৃষ্টি এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট ও আমন ধানের খেত, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বহু পরিবার। অনেকে গবাদি পশু ও মালপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে লালমনিরহাট সদর, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারী, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈলমারী ও নোহালী; আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী; সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিচু অঞ্চল রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সকাল ৯টায় ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, দুপুর ১২টায় ১৮ এবং বেলা ৩টায় ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে যে কোনো সময় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের মানুষজন। এদিকে তিস্তার পানির চাপ সামাল দিতে দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম ইনচাজ নুরুল ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তিস্তার পানি ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির হার অব্যহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, বৃষ্টি ও ভারতের উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার জানান, বন্যা কবলিত মানুষের ত্রাণ সহায়তার জন্য জন্য জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে! ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।