সিরাজগঞ্জে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের একটি ব্রিজের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে দীর্ঘদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইছামতি নদীর পূর্বপাড়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার একডালা ঘাট ও অপরপাড়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারি এলাকা। এ ঘাট দিয়েই ২ এলাকার বহু লোকজন চলাচল করে প্রতিদিন। এ গুরুত্বপূর্ণ ঘাট নামকস্থানে এ নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। এ কারণে জরম জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে।

স্থানীয়রা বলছেন, এ নদীর প্রসস্থতা কমে আসলেও এখন গভীরতা রয়েছে অনেক। স্বাধীনতার পর থেকে মন্ত্রী, এমপি ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জনস্বার্থে নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের আবেদন করা হয়। এ আবেদন করে এখনও কাজ না হলেও ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনায় ঘাট এলাকায় মাপজোপ করেছিল স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন। অবশেষে স্থানীয়রা বাশের সাঁকো দিয়ে এ নদী পারাপার হচ্ছে।

বর্ষার সময় এ নদীতে নৌকাযোগে চলাচল করতে হয় এবং পানি কিছুটা কমে গেলে ওই সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। এ সাঁকো পারাপারে প্রতিনিয়ত ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে এবং যে কোনো বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। বিশেষ করে জীবনঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে এ নদী পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে ছোটখাট ব্যবসায়ীসহ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। তবে বর্ষা মৌসুমে এ ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে ছোটখাট যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।

স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, ওই নদীর উভয়পাড়ে ফসলি জমি রয়েছে। এ জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু ওই নদীতে একটি ব্রিজের অভবে উৎপাদিত ফসল পারাপার ও চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এবং নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা ওই নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের একাধিকবার আশ্বাস দেন।

কিন্তু নির্বাচন পার হয়ে গেলে কেউ আর খোঁজ নিতে আসে না। আমাদের এ চরম দুর্ভোগ থেকেই যায়। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান বলেন, ওই নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প চলমান আছে। এ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের আওতায় একডালা দক্ষিণপাড়া ঘাট এলাকায় একটি ব্রিজ প্রস্তাবিত রয়েছে এবং অনুমোদন পাওয়া গেলে বিধিমতে সেখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।