বারিতে অগ্রগতি শীর্ষক কর্মশালা
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উদ্ভাবনী প্রতিভার খোঁজ এবং তাদের দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর ফার্ম মেশিনারি এন্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (এফএমপিই) বিভাগের আয়োজনে গত সোমবার বারির এফএমপিই বিভাগের সেমিনার কক্ষে কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা (এফএমডি) প্রকল্পের আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ ও বিকাশ কার্যক্রমের অগ্রগতি শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, সিমিট বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউ, ইন্টারন্যাশনাল পটেটো সেন্টার, এসিআই মটরস, মেটাল এগ্রো, উইগ্রো এগ্রি-ফিনটেক, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবকরা অংশগ্রহণ করেন।
বারির পরিচালক (গবেষণা) ড. মুন্সী রাশীদ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বারির পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ আতাউর রহমান। এছাড়াও বারির বিভিন্ন কেন্দ্র-আঞ্চলিক কেন্দ্র-উপ-কেন্দ্র-বিভাগ-শাখার সিনিয়র বিজ্ঞানী এবং বারির সাবেক মহাপরিচালক ও পরিচালকরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় প্রকল্পের কার্যক্রমের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এফএমপিই বিভাগ) ও প্রকল্প পরিচালক (এফএমডি) ড. মো. নূরুল আমিন। কর্মশালায় প্রদর্শিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন- ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এফএমপিই বিভাগ) ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক।
কর্মশালার অংশ হিসেবে পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাগুলোর বিভিন্ন নতুন ভাবনা উপস্থাপন করেন। এসময় কৃষি ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সনাতন যন্ত্রপাতি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে, প্রকল্পের আওতায় উদ্ভাবিত আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও কার্যকর পদ্ধতিগুলোর প্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নতুন ধারণা সৃষ্টি ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অনুষ্ঠানে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন সময়ে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো থেকে সেরা দশ উদ্ভাবকদেরকে সনদ, ক্রেস্ট ও পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হয়।
