মডেল ঘরে তিন মাসেই পচে যাচ্ছে পেঁয়াজ
রাজবাড়ীতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কামাল হোসেন, রাজবাড়ী

ভালো দামের আশায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্মিত আধুনিক মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন রাজবাড়ীর কৃষকরা। ঘরে রাখা পেঁয়াজ ছয় থেকে নয় মাস ভালো থাকার কথা থাকলেও তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ধরেছে পচন। এতে হতাশ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাষিরা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য মতে, পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ীর কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় কৃষকদের জন্য ৫০টি মডেল ঘর নির্মাণ করা হয়। চলতি বছর পাংশা উপজেলাতেও আরও ৫০টি ঘর নির্মাণ শেষে কৃষকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা। কংক্রিটের পিলারের ওপর নির্মিত ২৫ ফুট লম্বা ও ১৫ ফুট চওড়া ঘরগুলোতে রয়েছে তিন স্তরের মাচা। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ সাপেক্ষে যৌথভাবে পাঁচজন কৃষক প্রায় ৩০০ মণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারেন এসব ঘরে। কৃষক নজর আলী বিশ্বাস, মহেদ বিশ্বাস, লতিফ বিশ্বাস, জিল্লু শেখ ও পরশ আলী খানসহ অনেকেই জানান, আধুনিক ঘর নির্মাণে তাদের অনেক আশা ছিল। কিন্তু মাত্র তিন মাসেই সংরক্ষিত পেঁয়াজের অর্ধেক নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করেছেন। এ কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন অনেকে।
এ বিষয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রকল্পের উপ-পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বেশিরভাগ কৃষক দেশি জাতের পরিবর্তে হাইব্রিড বা উচ্চ ফলনশীল জাতের পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেছেন। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের উপযোগী নয়। কৃষকদের দেশি জাত রাখতে বলা হলেও অনেকে মানেন নি। ফলে তিন মাসের মাথায়ই পচন ধরেছে।
পেঁয়াজ পঁচে যাওয়ায় হতাশ কৃষকেরা এখন বিকল্প সংরক্ষণ পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছেন। স্থানীয়দের দাবি, মডেল ঘরগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে কৃষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং দেশি জাতের পেঁয়াজ সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
