তাড়াইলের হাওরাঞ্চলে চাল বিতরণ

সরকারিভাবে জিআরের চাল বরাদ্দ করা হয় স্থানীয় প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে। এই বিতরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন জনপ্রতিনিধিরা (যেমন ইউএনও এবং ইউপি চেয়ারম্যান)। তারই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের পানিবন্দি ও হতদরিদ্র ৩০০ পরিবারের মাঝে জিআর চাল বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

গত সোমবার উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের পানিবন্দি ও হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ কেজি করে জিআর এর চাল বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পপি খাতুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু, দামিহা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাইনুজ্জামান নবাব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাড়াইল উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা এনামুল হক (বড় হুজুর) প্রমুখ। গজারিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক (৭০), আবদুল হাই (৬০), নুরেছা বেগম (৭০), রেহেনা খাতুন (৭৫), জামেনা (৬৫) ও পারভিনা আকতার (৫৫) বলেন, ১০ কেজি করে চাল পেয়ে আমরা খুবই খুশি। প্রতি বছর বর্ষার পানি আমাদের খুব ক্ষতি করে। এতে আমাদের গরু-ছাগল না খেয়ে মারা যায়। আমাদের আয় রোজগার থাকে না। আজ আমরা চাল পাওয়াতে খুবই আনন্দিত। দামিহা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাইনুজ্জামান নবাব বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জিআরের চাল আমার ইউনিয়নে সুষ্ঠভাবে বিতরণ করেছি। পানিবন্দি ও হতদরিদ্ররা চাল পেয়ে তারা খুবই খুশি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পপি খাতুন বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বন্যা দুর্গতদের জন্য জিআর (সরকারি ত্রাণ) চাল উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ১৫ মেট্রিক টন বরাদ্দ করা হয়েছে। দামিহা ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ চাল জিআরের চাল চেয়ারম্যান মাইনুজ্জামান নবাবের মাধ্যমে গজারিয়া গ্রামের পানিবন্দি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। পানিবন্দি মানুষগুলো চাল পেয়ে খুবই খুশি।