ছয় কোটি টাকার সেতুর সংযোগ সড়ক নেই

মির্জাগঞ্জ ও বেতাগী উপজেলার সংযোগস্থল বেড়েরধন খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু। সেতুর মূল অংশের কাজ দুই বছর আগে শেষ হলেও সংযোগ সড়ক না করেই কাজ বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদার। ফলে সেতু দিয়ে পারাপার তো দূরের কথা, মই দিয়েও ওঠা যায় না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে জাইকার অর্থায়নে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে। সেতু কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান এনায়েত এন্টারপ্রাইজ। সেতু নির্মাণের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৩৭ টাকা। জানা গেছে, মির্জাগঞ্জ ও বেতাগী দুই উপজেলার সংযোগস্থল এ সেতুটি। দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে এ সেতু দিয়ে। সেতুর দুই পাড়ে রয়েছে ভূমি অফিস, ব্যাংক, হাট বাজারসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদার চার বছর আগে সেতুর কাজ শুরু করলেও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি। মূল সেতুর কাজ দুই বছর আগে শেষ হলেও কাজের বাকি রয়ে গেছে সংযোগ সড়ক।

বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে জলিশা বাজারের ব্যবসায়ী সাহেব আলী বলেন, নির্দিষ্ট সময় ঠিকাদার সেতুর কাজটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সংযোগ সড়ক না করে দুই বছর যাবত কাজ বন্ধ রেখেছে। কবে কাজ শেষ হবে জানি না। সেতুর দুই পাড়ের লোকজনের ভোগান্তির শেষ নেই। মেসার্স এনায়েত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার মো. এনায়েত হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অ্যাপ্রোচ সড়কের জমি নিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে ঝামেলার কারণে বাকি কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, সেতুর মির্জাগঞ্জ অংশের সংযোগ সড়কের জমি নিয়ে একটু ঝামেলা আছে। জমির সমস্যা সমাধান হলে কাজটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।