দিনাজপুরে আমন ধান আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সিদ্দিক হোসেন, দিনাজপুর

দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় বিস্তীর্ণ মাঠ এখন সবুজের সমারোহে ভরে উঠেছে। বাতাসে ঢেউ খেলছে আমন ধানের সবুজ পাতা।

এই দৃশ্য দেখে কৃষকের মনে জেগেছে স্বপ্ন বাম্পার ফলনের। এবারের মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, সময়মতো সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে ফলনের ব্যাপারে আশাবাদী কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলার ২ লাখ ৬০ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তার ২ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে উন্নত জাতের ধানও চাষ হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ধানের কাঁচা শিষ মাঠে দেখা যাবে এবং ধীরে ধীরে তা সোনালি রূপে ঝলমল করবে। তখন মাঠভরা ধান কেটে কৃষকের গোলা ভরে উঠবে।

সরেজমিন দেখা গেছে দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরপুর, ফাজিলপুর নশিপুর। কাহারোল উপজেলার রামপুর, ডহন্ডা, রামচন্দ্রপুর। বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর, মাকড়াই, মদনপুর, বর্ষা, মুরারীপুর, পলাশবাড়ী, শতগ্রাম, পাল্টাপুর, নিজপাড়া, সাতোর, ভোগনগর, মোহনপুর ও মরিচা এলাকায় ধানের খেতে সবুজ শিষ উঁকি দিচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকেরা খেতে সেচ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার ও পার্চিংয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে এবারের চাষাবাদ আগের বছরের তুলনায় আরও ভালো হয়েছে। অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি ধান কাটা শুরু হবে। তখন পূর্ণ হবে কৃষকের স্বপ্ন। বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের গ্রামের কৃষকরা বলেন, চলতি বছর ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে বিগত বছরের চেয়ে বেশি ফলন ঘরে তুলতে পারব। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে। এবার ফলন বেশ ভালো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফজাল হোসেন জানান, চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তার চেয়ে ২ হেক্টর জমিতে বেশি আমন চাষাবাদ করা হয়েছে। এবং জেলার ১৩টি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ও ব্লক সুপার ভাইজারদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কোনো কৃষকের আমন ধান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেইভাবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও ব্লক সুপারভাইজারগন মাঠে কাজ করছেন।