চুয়াডাঙ্গায় সবজির দাম চড়া
* বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মাংস এবং বিভিন্ন নিত্যপণ্য
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় গত কয়েকমাস ধরে সবজির দামের উত্তাপ কমছেই না। গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির সরবরাহ কম বাজারে। ফলে বাজারে সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকছে। দাম বাড়তি সব প্রকার সবজির। যা ৫০ টাকার উপরে ছুঁয়েছে দাম। আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মাংস এবং বিভিন্ন মুদি নিত্যপণ্যের দর। গত শনিবার সকালের দিকে চুয়াডাঙ্গা নিচের বাজারসহ অন্যান্য সব বাজারে এই অস্বাভাবিক দামের চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ঢুকতেই ব্যাগ হাতে টাকার হিসাব নিকাশ করতে দেখা যায় দিনমজুর আনোয়ার হোসেনকে।
১ হাজার টাকাসহ বাজারে এসে এক লম্বা লিস্ট নিয়ে এ দোকান থেকে অদোকান দৌড়াদৌড়ি করছে। কয়েক রকমের সবজির কিনেই আনোয়ারের ৬০০ টাকা শেষ। আর আছে ৪০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে কি কিনবে তা কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। এখনও বাকি রয়েছে মুদি পণ্য ও মাছ মাংস। এই আনোয়ারের মতো বাজারে আসা অনেককেই নিত্যপণ্যের দামের কাছে অসহায় হয়ে যায়। গত সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা কমলেও বেগুনের দাম ৮০ টাকা কেজি। ফলে ক্রেতাদের এখনও স্বস্তি ফিরেনি সবজির বাজারে।
বাজারে আগাম সবজির সরবরাহের শুরুতে দাম হাঁকাছে। প্রতিকেজি সিম ২০০ টাকা কেজি। আর টমোটো ১২০ টাকা। আগের সপ্তাহের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পটল ৬০ টাকা দর, উচতে ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা। তবে দামে স্বস্তি রয়েছে আদা রসুন ও আলুর বাজারে।
এদিকে গত সপ্তাহের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে নিম্নআয়ের আমিষ ব্রয়লার মুরগি। প্রতি কেজি এই মাংস ২৪০ টাকা। আর সোনালি মুরগি ৩২০ ও প্যারিস মুরগির মাংস ৪৫০ টাকা। আগের মতোই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে খাসি ও গরুর মাংসে দর। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও মাছের দামে আগুন। প্রতি কেজি ছোট ও বড় সব প্রকারের মাছ কেজিতে ৫০ টাকা বাড়তি। তবে কয়েক সপ্তাহ ঘুরে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। এক খাচি ডিম ৩৩০টাকা। বাজারে সবজি ও আমিষ পণ্যের পাশাপাশি চড়া হচ্ছে কিছু মুদিপণ্যের দামে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে মসুর ডাল ১৪০ টাকা। তাছাড়া অন্য ডালগুলোর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখনও দাম কমেনি আটা ও খোলা সয়াবিন তেল এবং সব প্রকার মসলার দাম। আর অন্যান্য মুদি পণ্য প্রতিনিয়ত দাম উঠা নামা করছে। বাজারে আসা ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে কোনো জিনিস কিনে খাব, তা কেনার কায়দা নাই। এতো দাম জিনিসের তা বলার কথা না। সবজির দামে তো সাধারণ ক্রেতারা শেষ হয়ে যাচ্ছে। মাছ ও মাংসের দাম তো কমছেই না।
আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে নিয়মিত তদারকি মনিটরিং হয় না। বাজারে সব জিনিসের দামে উত্তাপ। কোনো প্রকার জিনিস কিনে খাব তার কায়দা নাই। আয়ের থেকে ব্যায় অনেক বেশি। বাজারটা নিয়মিত মনিটরিংয়ে রাখলে দাম কিছুটা স্বাভাবিকে আসবে।
বাংলাদেশ কনজুমার এসোসিয়েশন অব ক্যাব চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মানিক আকবর বলেন, বাজারে সবজির দাম অনেক। সেই সঙ্গে মাছ মাংস ও মুদি পণ্যের দাম বেশি। বাজার নিয়ন্ত্রণটা চুয়াডাঙ্গা জেলায় খুব দুর্বল। বাজারের সিন্ডিকেট দের ভাঙতে হবে। সেই সঙ্গে বাজার মনিটরিং আরও জোড়দার করলে পণ্যের দাম স্বাভাবিকভাবে থাকবে। এই জন্য প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহ্বান।
