পীরগঞ্জে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের আতাইঘাটে টাঙ্গন নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন পীরগঞ্জ ও সেতাবগঞ্জ উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে সাধারণ মানুষ নদী পারাপার হতে পারলেও প্রায় ৪০ কি. মি. পথ ঘুড়ে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল আনা নেওয়া করতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। তবে ব্রীজ নির্মাণের কনসালটেন্ট বলছেন, সেখানে ব্রীজ নির্মাণের সাম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ এবং দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ উপজেলার সীমানা দিয়ে বয়ে গেছে টাঙ্গন নদী। পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের আতাই ঘাটে এ নদীতে ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে প্রতিদিন শত শত সাধারণ মানুষ নদী পারাপার হচ্ছেন।
এ ঘাটের পশ্চিম পার্শে^ পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট, দৌলতপুর, সেনগাঁও ও হাজীপুর ইউনিয়ন। পূর্বপাড়ে সেতাবগঞ্জ উপজেলার রনগাঁও ও নাফানগর ইউনিয়ন। দুই উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মানুষের নদীর উভয় পাড়ে জায়গা জমি রয়েছে।
কৃষিসহ বিভিন্ন কাজে এইসব এলাকার মানুষের একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগে একমাত্র ভরসা নৌকা। নৌকায় করে লোকজন যাতায়াত করতে পারলেও কৃষিপণ্যসহ ভারী মালামাল আনা নেওয়ার জন্য প্রায় ৪০ কি. মি. ঘুড়ে পীরগঞ্জ শহর হয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। তাছাড়াও এই ঘাটের উভয় পাশের্^ সেতাবাগঞ্জ ও জাবরহাট নামে দুইটি বড় বাজার রয়েছে। এ বাজারে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য জিসিনপত্র বেচা কেনার জন্য মানুষজনকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এছাড়াও নদীর এপারে পীরগঞ্জ উপজেলায় সেতাবাগঞ্জ চিনিকলের বেশ কয়েকটি ফার্ম রয়েছে। এইসব ফার্মের আখ ৪০ কি. মি. ঘুরে চিনিকলে নিতে হয়। এতে সময় ও খরচ বাড়ে। আতাই ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের জন্য মানববন্ধনসহ সভা সমাবেশ করে আসছেন নদী পাড়ের মানুষ।
আকতার হোসেন নামে বিএনপির এক জানান, ব্রীজটির জন্য তারা চরম আসুবিধায় রয়েছেন। বর্ষা মৌসুমে নৌকায় করে নদী পারাপারের সময় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। ছাত্র-ছাত্রীদের বই খাতা ভিজে যায়। ঘাটের পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দা কাকন বালা জানান, নদীর পূর্ব পাড়ে তাদের একটি বড় মন্দির আছে। সেখানে প্রতিবছর বড় মেলা বসে। ব্রিজ না থাকা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে তাদের সেখানে যেতে হয়।
জাবরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া জানান, সেখানে ব্রিজ নির্মাণ হলে, এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। ব্রিজ নির্মাণের স্বাম্ভব্যতা যাচাইয়ের কাজ অনেকাংশে এগিয়েছে বলে জানান ইকিউএমএস নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি সহকারী কনসালটেন্ট শাহরিয়ার হোসেন সিয়াম। তিনি ব্রিজ নির্মাণের সম্ভব্যতার প্রাথমিক যাচাই করেছেন। তিনি জানান, আর দুটি টিম সরেজমি এসে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এরপরই ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মাঈদুলা ইসলাম জানান, সেখানে ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রীয়াধীন।
