আমি ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চাই

বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ স্থগিত হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন- আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। আমার দলের কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে ধানের শীষ মার্কাটা দিবেন।

গত বুধবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত তার নিজের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এসব কথা বলেন তিনি। ফজলুর রহমান বলেন, দল আমাকে তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে, আমি মাথা পেতে নিয়েছি। তবে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। দলের কাছে এটাই আমার চাওয়া। আপনারা জনগণ দলের কাছে দুইটা জিনিস চাইবেন। একটা হলো ফজলুর রহমান, অন্যটা হলো ধানের শীষ মার্কা। এসময় উপস্থিত হাজারো জনতা তার কথায় হাত উঁচিয়ে সমর্থন জানান।

এ সময় জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশে ফজলুর রহমান বলেন- মুক্তিযুদ্ধ হইলো, দেশ স্বাধীন হইলো। কিন্তু জামায়াতে ইসলাম বলে এটা ছিল ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব। আর এই দ্বন্দ্ব নাকি ভারত লাগিয়ে ছিল। ফজলুর রহমান বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আমরণ বলে যাব। এ বিষয়ে কোনো আপোষ নাই। যেদিন পত্রিকায় জামায়াত লিখল, এই দেশে কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই। বলল মুক্তিযুদ্ধ রাখবে না। যারা যুদ্ধ করেছে তারা বেশিরভাগ নাকি হিন্দু। ইন্ডিয়া থেকে এসে যুদ্ধ করেছে। অস্ত্র নিয়ে যারা যুদ্ধ করেছে, তারা আল্লাহর কাছে মাফ চাও। সেদিন আমি বলেছি, এই আল-বদরের বাচ্চারা। রাজাকারের বাচ্চারা এখনও আমি জীবিত আছি। সেই দিন আমি বলছি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। আমি কী এমনিতেই জামাতের বিরুদ্ধে বলছি। আমি কী ঝগড়া করার মানুষ নাকি।

তিনি বলেন- যখন দেখছি মুক্তিযুদ্ধ রাখবে না, মুক্তিযুদ্ধকে কবর দিয়ে দিবে। যখন দেখছি ৩০ লাখ মানুষের রক্ত এ দেশে বৃথা যাবে। দুই লাখ মা বোনের ইজ্জত বৃথা যাবে, তখন আমি মনে করেছি, না আমি ছাড়ব না। আমি তাদেরকে ছাড়ব না, যারা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে। যখন এসব কথা বললাম। আমার সঙ্গে যুক্তিতে পাওে না, তখন কিছু মৌলানা, মৌলানা আজহারি, মৌলানা আমির হামজা, মৌলানা আহমদুল্লাহ, তারা বলা শুরু করল ও তো পাগল, ও তো ফজু পাগলা।

ফজলুর রহমান বলেন, আপনাদের কী মনে হয় আমি ফজু পাগলা? আমাকে কী পাগল মনে হয়? আসলে আমাকে পাগল উপাধি দিয়ে রাজাকারেরা বাঁচতে চায়। শুধু আল বদর আর রাজাকারের বাচ্চারা ছাড়া আমাকে কেউ ফজু পাগলা বলে না।

তিনি জামায়াতের আমিরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, আপনার বাড়িত সিলেট। সিলেটে ১৯টি আসন আছে। কোন আসনে দাঁড়াইবেন বলেন। আমি আমার দল থেকে সেই আসনে দাঁড়াব। ১৯টির মধ্যে একটা আসনেও যদি পাশ করতে পারেন, তাহলে ভাবব আপনারা বাপের বেটা। মিটামইন সদরের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- মিঠামইন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইব্রাহীম।